হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেকেই ভেবে থাকেন কিডনিতে একবার পাথর হয়ে গেলে আর পাথর হয় না। কিন্তু আপনার এই ধারণাটি ভুল। কিডনিতে একবার পাথর হলে বার বার পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সারাজীবন সচেতন থাকতে হয়।
আসলে কিডনির দোষেই এই সমস্যা হয়। আক্রান্ত মানুষটির কিডনির জেনেটিক গঠনটাই এমন থাকে যে, সে স্টোন তৈরি করেই চলে। আশার কথা এটাই যে একবার স্টোন হওয়ার পরে পুনরায় হতে সময় লাগে। সেটা যেমন ১০-১৫ বছর বাদে হতে পারে, তেমনি জীবদ্দশা কেটে গেল, এমনও হতে পারে।
দেখা গেছে, প্রথম স্টোন হওয়ার পরে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে ১০% ক্ষেত্রে ১ বছরের মধ্যে, ৩৩% ক্ষেত্রে ৫ বছরের মধ্যে এবং ৫০% ক্ষেত্রে ১০ বছরের মধ্যে পুনরায় স্টোন হতে পারে। তবে এই ঝুঁকি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন- ১৫ বছরের কোনো রোগীর সিস্টিন স্টোন হলে পুনরায় স্টোন হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি, অথচ ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন হয়েছে এমন কোনো মধ্যবয়সীর আবার স্টোনের সম্ভাবনা খুব কম।
সতর্কতা
আপনার পরিবারে যদি কিডনি স্টোনের ইতিহাস থেকে থাকে, তাহলে আপনিও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কিডনি স্টোনের পারিবারিক ইতিহাস আছে এমন কিছু লোকের কিছু ত্রুটিপূর্ণ জিন থাকে যারা ইউরিনে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা বলেন যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায় তাহলেই কিডনি স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। স্বাভাবিক পরিমান ক্যালসিয়াম-সহ স্বাস্থ্যকর ডায়েট, পর্যাপ্ত পানি এবং চিকিত্সকের কাছে নিয়মিত চেক-আপ করেই কিডনি স্টোন থেকে দূরে থাকা যায়।
আর যদি একান্তই স্টোন হয় তবে প্রথমেই দেখে নিতে হয় পাথরটি কোন উপাদানে তৈরি। তারপরে দেখতে হয় কেন বার বার স্টোন হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করে উপকার পাওয়া যায়। যাদের ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন হয় তাদেরও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করা দরকার। সবচেয়ে বড় কথা, একবার কিডনি স্টোন ধরা পড়লে ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে সেটাকে যেভাবেই হোক শরীর থেকে বের করে দেয়া উচিত।