নিয়মিত ঋতুস্রাব নারীর শারীরিক সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। তবে যদি কোনো কারণে তা অনিয়মিত হয়ে থাকে তবে তা সত্যিই ভাবনার বিষয়। যদিও কিছু চিকিৎসাজনিত কারণে অনেক সময় অনিয়মিত হয়ে পড়ে ঋতুস্রাব। ওষুধ থেকেও সমস্যা দেখা দেয়।
আপনি কি প্রায়ই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভোগেন? তাহলে জেনে নিন এর নেপথ্য কারণ। সব সময়েই যে গর্ভধারণ এর নেপথ্য কারণ তা নয়। আরও নানা কারণে পিরিয়ড পিছিয়ে যেতে পারে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, যে কারণ বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেটি হল গর্ভধারণ। এছাড়াও, অতিরিক্ত অবসাদ, ওবেসিটি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, ওষুধ, অন্যান্য রোগ এবং মেনোপজের বয়স হলে এমনিতেই ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ
১. অবসাদ
অতিরিক্ত অবসাদে ভুগলেও হরমোন নিঃসরণ অনিয়মিত হতে পারে। তার থেকে দেখা দেয় এই সমস্যা। তাই মাত্রাতিরিক্ত অবসাদে ভুগলে প্রয়োজনে মনোবিশ্লেষকের পরামর্শে ওষুধ নিয়ে সমস্যার সমাধান করুন।
২. পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস)
ওভারি বা গর্ভাশয়ে সিস্ট থাকলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সঙ্গে থাকে প্রচণ্ড পেটে ব্যথাও।
৩. ওবেসিটি
নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খেলে ওজন বাড়বেই। আর বাড়িতে মেদ শরীরে জমলে অনেক ক্ষেত্রেই হরমোন নিঃসরণ ব্যাহত হয়। এতেও অনিয়মিত হয় ঋতুস্রাব।
৪. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ভারী রোগ থেকে বাঁচতে টানা কোনো ওষুধ খেলে অনেক সময় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যায়। যার জেরে অনেকের পিরিওড অনিয়মিত হয়ে পড়ে। অনেকের আবার পিরিয়ড বন্ধও হয়ে যায়।
৫. অন্যান্য সমস্যা
এছাড়াও অন্য রোগও এর কারণ হতে পারে। যেমন, ডায়াবেটিস থাকলে আপনাকে এই সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।.আবার অপুষ্টিতে ভুগলেও পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।