হাওর বার্তাঃ সৌদি আরবের সরকার প্রথমবারের মতো পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির তেলকেন্দ্রিক অর্থনীতিকে বহুমুখী করার উদ্যোগ হিসেবে এই ভিসা দেওয়া হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ নামক সংস্কার কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু পর্যটনশিল্প।
সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই এ ঘোষণা এল। ওই হামলার পর বৈশ্বিক বাজারে তেলের দামে বেশ প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক দ্বন্দ্বের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি হামলায় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ইরানকে দায়ী করা হলেও ইরান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রধান আহমেদ আল-খতিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের জন্য সৌদি আরবের দ্বার উন্মুক্ত করা আমাদের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমাদের প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বা স্থানগুলো দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবেন। আমাদের রয়েছে ইউনেসকোর পাঁচটি বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট), আকর্ষণীয় সংস্কৃতি ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।’
খতিবের বরাতে ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, ৪৯টি দেশের নাগরিকেরা আগামীকাল শনিবার থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনলাইনে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
খতিব বলেন, বিদেশি নারীদের জন্য পোশাকের কঠোর নীতি সৌদি আরবের সরকার শিথিল করবে । সৌদি নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক পুরো শরীর ঢাকা আবায়া ছাড়াও তাঁরা ঘুরতে পারবেন। তবে তাঁদের ‘মার্জিত পোশাক’ পরতে হবে।
সৌদি আরবে কেবল প্রবাসী শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার আছে। এ ছাড়া মক্কা এবং মদিনার পবিত্র স্থানগুলো মুসলিমদের জন্যই সীমিত করা ছিল। বিশ্ব পর্যটন দিবসে সৌদি আরবে টুরিস্ট ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভ্রমণপিপাসুদের জন্য খুশির খবরই বটে।