ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অবৈধ করায় ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২১৬ বার

হাওর বার্তাঃ ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ককে নিষিদ্ধ করতে নতুন একটি প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

ইন্দোনেশিয়ার সংসদের সামনে ছাড়াও অন্যান্য শহরেও এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

ঐ আইন অনুযায়ী অধিকাংশ গর্ভপাত অপরাধ হিসেব চিহ্নিত হবে এবং প্রেসিডেন্টকে অবমাননাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রস্তাবিত বিলটি পাস হতে দেরি হলেও বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে।

 

প্রস্তাবিত নতুন অপরাধ আইনে যা যা রয়েছে –

বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে

বিয়ে ছাড়া একসাথে বসবাসের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি

প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের মত প্রতীক অবমাননা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে

চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা বা ধর্ষণের পরিস্থিতি না হলে গর্ভপাতের শাস্তি সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড

প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার সংসদে এই বিলটির বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল – তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন।

তিনি বলেছেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরো বিবেচনা প্রয়োজন।

বিলটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হলেও অনেক ইন্দোনেশিয়ানেরই আশঙ্কা – সংসদে এই বিলটি পাস হতে পারে।

আর কয়েকদিন আগে দেশটির দূর্নীতি দমন সংস্থা ‘করাপশন ইর‍্যাডিকেশন কমিশনের’ ক্ষমতা সীমিত করে আইন পাস করার ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষের মধ্যে।

ইন্দোনেশিয়ার অনেক শহরের রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেমে আসেন, যাদের অনেকেই ছাত্র।

মূল বিক্ষোভ হয় রাজধানী জাকার্তায় – বিক্ষোভকারীরা সংসদের স্পিকার বামবাং সোয়েসাতেয়ো’র সাথে দেখা করার দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে।

বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়: “আমার দেহ কোনো সরকারের সম্পত্তি নয়”।

সুলাওয়েসি দ্বীপের ইয়োগিয়াকার্তা ও মাকাসা সহ আরো কয়েকটি জায়গায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ চলেছে।

পশ্চিম জাভা’র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী ছাত্র ফুয়াদ ওয়াহইউদিন রয়টার্সকে বলেন, “দূর্নীতিবিরোধী সংস্থা দূর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বরং দূর্নীতিবাজদের পক্ষে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে সংসদে যাবো আমরা।”

জাকার্তায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অবৈধ করায় ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ১০:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তাঃ ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ককে নিষিদ্ধ করতে নতুন একটি প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

ইন্দোনেশিয়ার সংসদের সামনে ছাড়াও অন্যান্য শহরেও এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

ঐ আইন অনুযায়ী অধিকাংশ গর্ভপাত অপরাধ হিসেব চিহ্নিত হবে এবং প্রেসিডেন্টকে অবমাননাও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রস্তাবিত বিলটি পাস হতে দেরি হলেও বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত সংসদে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে।

 

প্রস্তাবিত নতুন অপরাধ আইনে যা যা রয়েছে –

বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে

বিয়ে ছাড়া একসাথে বসবাসের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি

প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের মত প্রতীক অবমাননা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে

চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা বা ধর্ষণের পরিস্থিতি না হলে গর্ভপাতের শাস্তি সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড

প্রাথমিকভাবে মঙ্গলবার সংসদে এই বিলটির বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল – তবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করেন।

তিনি বলেছেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরো বিবেচনা প্রয়োজন।

বিলটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হলেও অনেক ইন্দোনেশিয়ানেরই আশঙ্কা – সংসদে এই বিলটি পাস হতে পারে।

আর কয়েকদিন আগে দেশটির দূর্নীতি দমন সংস্থা ‘করাপশন ইর‍্যাডিকেশন কমিশনের’ ক্ষমতা সীমিত করে আইন পাস করার ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষের মধ্যে।

ইন্দোনেশিয়ার অনেক শহরের রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নেমে আসেন, যাদের অনেকেই ছাত্র।

মূল বিক্ষোভ হয় রাজধানী জাকার্তায় – বিক্ষোভকারীরা সংসদের স্পিকার বামবাং সোয়েসাতেয়ো’র সাথে দেখা করার দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে।

বিক্ষোভরত এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়: “আমার দেহ কোনো সরকারের সম্পত্তি নয়”।

সুলাওয়েসি দ্বীপের ইয়োগিয়াকার্তা ও মাকাসা সহ আরো কয়েকটি জায়গায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ চলেছে।

পশ্চিম জাভা’র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী ছাত্র ফুয়াদ ওয়াহইউদিন রয়টার্সকে বলেন, “দূর্নীতিবিরোধী সংস্থা দূর্নীতির বিরুদ্ধে নয় বরং দূর্নীতিবাজদের পক্ষে। এই নতুন আইনের বিরোধিতা করতে সংসদে যাবো আমরা।”

জাকার্তায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।