ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের আমরা জোর করে ফেরত পাঠাব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৪৫ বার

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা কাউকে জোর করে ফেরত পাঠাব না, তারা (রোহিঙ্গা) স্বেচ্ছায় ফেরত যাবে। রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব মিয়ানমারের। তারা তাদের লোকগুলোকে কনভিন্স করতে পারেনি।

মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশে পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র বানানোর জন্য সময়ক্ষেপণ করবেন না। আগে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরান, তারাই তাদের ঘরবাড়ি বানিয়ে নেবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য ঘরবাড়ি বানানোর দরকার নেই, আগে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিন। রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু বাড়িঘর মিয়ানমার সরকার তৈরি করেছে, সেখানে আসলে কী অবস্থা হয়েছে- তা দেখাতে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে যাবে। মিয়ানমার সরকার আগে কোনো দিন রাজি ছিল না, এখন রাজি হয়েছে।’

 একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ভারত থেকে আসি, আমরা চিন্তা করি নাই আমাদের ঘরবাড়ি আছে কিনা। পাকিস্তানি আর্মি আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলেছিল, আমরা এসে ঘরবাড়ি তৈরি করেছি। ’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারাও যখন আমাদের এখানে এল, তারাও কিন্তু ঘরবাড়ির কথা চিন্তা করে নাই। পালাই পালাই করে চলে আসছে। যখন তাদের যাওয়া শুরু হবে, গিয়ে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করে নেবে, না গেলে কীভাবে হবে?’

এ সময় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গাদের আমরা জোর করে ফেরত পাঠাব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৫২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমরা কাউকে জোর করে ফেরত পাঠাব না, তারা (রোহিঙ্গা) স্বেচ্ছায় ফেরত যাবে। রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব মিয়ানমারের। তারা তাদের লোকগুলোকে কনভিন্স করতে পারেনি।

মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশে পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র বানানোর জন্য সময়ক্ষেপণ করবেন না। আগে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরান, তারাই তাদের ঘরবাড়ি বানিয়ে নেবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য ঘরবাড়ি বানানোর দরকার নেই, আগে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিন। রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু বাড়িঘর মিয়ানমার সরকার তৈরি করেছে, সেখানে আসলে কী অবস্থা হয়েছে- তা দেখাতে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে যাবে। মিয়ানমার সরকার আগে কোনো দিন রাজি ছিল না, এখন রাজি হয়েছে।’

 একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ভারত থেকে আসি, আমরা চিন্তা করি নাই আমাদের ঘরবাড়ি আছে কিনা। পাকিস্তানি আর্মি আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলেছিল, আমরা এসে ঘরবাড়ি তৈরি করেছি। ’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারাও যখন আমাদের এখানে এল, তারাও কিন্তু ঘরবাড়ির কথা চিন্তা করে নাই। পালাই পালাই করে চলে আসছে। যখন তাদের যাওয়া শুরু হবে, গিয়ে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করে নেবে, না গেলে কীভাবে হবে?’

এ সময় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।