ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

নীল সমুদ্র অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আগ্রহ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থাটি বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চায়। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারত থেকে পাওয়া এক লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার নীল সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান মার্সি টেম্বন।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে টেম্বন বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গড়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশের একটি। বাংলাদেশের অনেক অর্জনের খবর বাইরের মানুষ তেমন জানে না। এখানে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অনেক আশাজাগানিয়া খবর আছে। আগামী মাসে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশের এসব অর্জনের কথা আমি তুলে ধরব।

টেম্বন বলেন, এর আগে বাংলাদেশে আমি ২০০৭ সালে একবার এসেছি। বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনার জায়গা আছে। যার মধ্যে একটি হলো সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন। এটি বাংলাদেশের জন্য এখন বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারও দেখছি এই খাতের উন্নয়নে কিছু একটা করতে চায়। আমরা সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চাই। বিনিয়োগ করতে চাই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নীল সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা আছে। আমাদের ৮৮ শতাংশ নীল সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এই খাতে আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে সহযোগিতা পেতে পারি। কারণ, তারা বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সৌন্দর্য নদী। নদীকেন্দ্রিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করতে চায়। তবে তাদের উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। তাদের আশ্বস্ত করেছি, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বেড়েছে। সক্ষমতাও বাড়ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, টাকার কোনো সমস্যা নেই। যত টাকা লাগবে বিশ্বব্যাংক দিতে প্রস্তুত। তবে তার আগে প্রকল্প তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের শত বছর মেয়াদি ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়ও তারা বিনিয়োগ করতে চায়।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে আসবে। এ খাতে টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে। বিশ্বব্যাংক যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।  বৈঠকে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

নীল সমুদ্র অর্থনীতিতে বিনিয়োগের আগ্রহ

আপডেট টাইম : ০৯:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থাটি বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চায়। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারত থেকে পাওয়া এক লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটার নীল সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এসব বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান মার্সি টেম্বন।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে টেম্বন বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গড়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশের একটি। বাংলাদেশের অনেক অর্জনের খবর বাইরের মানুষ তেমন জানে না। এখানে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অনেক আশাজাগানিয়া খবর আছে। আগামী মাসে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশের এসব অর্জনের কথা আমি তুলে ধরব।

টেম্বন বলেন, এর আগে বাংলাদেশে আমি ২০০৭ সালে একবার এসেছি। বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনার জায়গা আছে। যার মধ্যে একটি হলো সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন। এটি বাংলাদেশের জন্য এখন বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারও দেখছি এই খাতের উন্নয়নে কিছু একটা করতে চায়। আমরা সড়ক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চাই। বিনিয়োগ করতে চাই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নীল সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা আছে। আমাদের ৮৮ শতাংশ নীল সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এই খাতে আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে সহযোগিতা পেতে পারি। কারণ, তারা বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সৌন্দর্য নদী। নদীকেন্দ্রিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করতে চায়। তবে তাদের উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। তাদের আশ্বস্ত করেছি, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বেড়েছে। সক্ষমতাও বাড়ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, টাকার কোনো সমস্যা নেই। যত টাকা লাগবে বিশ্বব্যাংক দিতে প্রস্তুত। তবে তার আগে প্রকল্প তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের শত বছর মেয়াদি ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়ও তারা বিনিয়োগ করতে চায়।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে আসবে। এ খাতে টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে। বিশ্বব্যাংক যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আমাদের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন আরো ত্বরান্বিত হবে।  বৈঠকে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।