হাওর বার্তা ডেস্কঃ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতন আরও বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দিন দিন বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যার সংখ্যা বাড়লেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নীরবতা পালন করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ও নির্যাতন আরও বেড়ে গেছে। বেড়েছে বিএসএফের নৃশংসতার ধরনও। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় আটক বাংলাদেশিদের প্রতি ভয়ঙ্কর নৃশংস আচরণ করেছে বিএসএফ।
বিএসএফ বাংলাদেশিদের ওপর যে নিষ্ঠুর আচরণ করছেন তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও জানান তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে আইন প্রয়োগের সুযোগ থাকলেও তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। সুযোগ পেলেই এ দেশের নিরীহ লোকদের ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে।
রিজভী আরও বলেন, মানবধিকার সংস্থাগুলোর মতে- চলতি বছরের ছয় মাসে বিএসএফের হাতে নিহত হন ১৮ বাংলাদেশি। গত তিন দিনে বিএসএফের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকালও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নিমতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ।
‘এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম নামে অপর এক যুবক আহত হন।’
রিজভী বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে রাষ্ট্র একবারে চুপ করে বসে আছে। কোনো কোনো সময় প্রতিবাদের পরিবর্তে বিএসএফের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।
দুনিয়ার কোনো দেশের সীমান্তে এত হত্যা ও রক্তপাতের একতরফাভাবে ঘটনা ঘটে না মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে প্রতিবাদ হলে এসব ঘটনা কমতে পারত। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত নিরাপদ হচ্ছে না।
‘সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। আমি সরকারের এ ধরনের ঘৃণ্যনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।