ঢাকা ০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টেও জামিন পাননি দুদকের বরখাস্ত পরিচালক বাছির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩৮ বার

৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার আসামি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ঘুষ লেনদেনের মামলায় ২৩ জুলাই এনামুল বাছিরের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে জেল কোড অনুযায়ী তাকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরে জামিন চেয়ে বাছির গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন জানান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাছিরের আইনজীবী এমএম জামাল হোসেন এ আবেদন জমা দেন। ২২ জুলাই রাতে তাকে মিরপুরে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে দুদক।

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় বাছিরসহ পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই মামলা করে দুদক। ফরেনসিক পরীক্ষায় ঘুষ লেনদেন নিয়ে তাদের কথোপকথনের অডিওর সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক এনামুল বাছির ঘুষগ্রহণ করেছেন, এটি অডিও রেকর্ডে প্রমাণ আছে। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান নিজেই ঘুষ দেয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। দুদক মনে করছে, এর মাধ্যমে মিজান নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দুজনই ঘুষ লেনদেনে জড়িয়েছেন, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫(১), ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) (ক্ষমতার অপব্যবহার) ধারায় অজামিন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সূত্র আরও জানায়, দুজনের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম। ১৫ দিন কাজ করে প্রতিবেদন জমা দেয় ওই টিম।

দুদকের মামলার এজাহারের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় এনামুল বাছিরকে। ওই অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় ৯ জুন ডিআইজি মিজান ওই অনুসন্ধান থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। এর পর পরই দুদকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে খন্দকার এনামুল বাছিরের বক্তব্য গ্রহণ করে এবং পারিপার্শ্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

হাইকোর্টেও জামিন পাননি দুদকের বরখাস্ত পরিচালক বাছির

আপডেট টাইম : ০৩:০০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

৪০ লাখ টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার আসামি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ঘুষ লেনদেনের মামলায় ২৩ জুলাই এনামুল বাছিরের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একইসঙ্গে জেল কোড অনুযায়ী তাকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরে জামিন চেয়ে বাছির গত ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন জানান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বাছিরের আইনজীবী এমএম জামাল হোসেন এ আবেদন জমা দেন। ২২ জুলাই রাতে তাকে মিরপুরে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে দুদক।

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় বাছিরসহ পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই মামলা করে দুদক। ফরেনসিক পরীক্ষায় ঘুষ লেনদেন নিয়ে তাদের কথোপকথনের অডিওর সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক এনামুল বাছির ঘুষগ্রহণ করেছেন, এটি অডিও রেকর্ডে প্রমাণ আছে। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান নিজেই ঘুষ দেয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। দুদক মনে করছে, এর মাধ্যমে মিজান নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দুজনই ঘুষ লেনদেনে জড়িয়েছেন, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫(১), ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) (ক্ষমতার অপব্যবহার) ধারায় অজামিন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সূত্র আরও জানায়, দুজনের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম। ১৫ দিন কাজ করে প্রতিবেদন জমা দেয় ওই টিম।

দুদকের মামলার এজাহারের তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় এনামুল বাছিরকে। ওই অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় ৯ জুন ডিআইজি মিজান ওই অনুসন্ধান থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। এর পর পরই দুদকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে খন্দকার এনামুল বাছিরের বক্তব্য গ্রহণ করে এবং পারিপার্শ্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পায়।