হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্র এবং জেটিঘাট প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ যে কোনো মূল্যে কাঙ্ক্ষিত এই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য শালবাগান ক্যাম্প ইনচার্জ অফিসের পাশে এবং কেরুনতলীতে প্রত্যাবাসন বিশেষ আশ্রয়ণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রত্যাবাসন জেটিঘাট। এই প্রত্যাবাসন সফল করতে শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনারের লোকজনসহ ইউএনএইচসিআরের লোকজন কাজ করছে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ার পর আবারো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তত্পরতার পর প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একাধিক মুরুব্বি ও নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, রোহিঙ্গাদের উত্থাপিত দাবি পূরণ হলেই রোহিঙ্গারা ওপারে যেতে পারে। অন্যথায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
একটি সূত্রের দাবি, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণকারী উগ্রপন্থি সশস্ত্র গ্রুপের লোকজনের কাছে রোহিঙ্গারা জিম্মি। এ কারণে সাধারণ রোহিঙ্গারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাই রাতে হামলার আশঙ্কায় মিয়ানমার ফিরতে আগ্রহী অনেকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। এছাড়া কিছু এনজিও কর্মকর্তাদের রহস্যজনক কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে পারে।
২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসি খালেদ হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার ২১ পরিবার এবং বুধবার ৮০টি পরিবার স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য মতামত দিয়েছেন। কেউ প্রত্যাবাসন-বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানান, প্রত্যাবাসন-কার্যক্রম সফল করতে আমরা প্রস্তুত। আশা করি, নির্ধারিত সময়ে সফলভাবে এই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।