ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার দিল্লি সফরেই তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আবারও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহলে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সেরে ফেলতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরেই এই চুক্তি সম্পন্নের জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।

মোদি এর আগেও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল আপত্তিতে তা ভেস্তে যায়।

গত এক দশকে দু’দেশের মধ্যে শতাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন বছরেই ৬৮টি বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ। তবে তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা ঢাকার কাছে ভালো বার্তা দিচ্ছে না বলেই মত দিল্লির কূটনৈতিক মহলের।

দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এবার তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আশাবাদী বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে যেভাবে তৃণমূল ভেঙে বিধায়ক নেতাকর্মীরা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এ সময়ে ফের তিস্তা নিয়ে তিনি সরব হতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

তাই ছিটমহলের মতো এবার তিস্তা চুক্তি নিয়েও উঠেপড়ে লেগেছে নয়াদিল্লি। ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ করে নয়াদিল্লি ও ঢাকা। তবে মমতার আপত্তিতে এতদিন চুক্তি হয়নি। সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সূত্রের খবর, তার সঙ্গে তিস্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কয়েকদিন আগে ঢাকায় দু’দেশের মধ্যে পানি সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ আট বছর পর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ। এসব কিছুই তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের পদক্ষেপ বলে মনে করছে দিল্লির কূটনৈতিক মহল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার দিল্লি সফরেই তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা

আপডেট টাইম : ১২:০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আবারও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহলে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে সেরে ফেলতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরেই এই চুক্তি সম্পন্নের জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।

মোদি এর আগেও তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল আপত্তিতে তা ভেস্তে যায়।

গত এক দশকে দু’দেশের মধ্যে শতাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে গত তিন বছরেই ৬৮টি বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ। তবে তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা ঢাকার কাছে ভালো বার্তা দিচ্ছে না বলেই মত দিল্লির কূটনৈতিক মহলের।

দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এবার তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আশাবাদী বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে যেভাবে তৃণমূল ভেঙে বিধায়ক নেতাকর্মীরা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এ সময়ে ফের তিস্তা নিয়ে তিনি সরব হতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

তাই ছিটমহলের মতো এবার তিস্তা চুক্তি নিয়েও উঠেপড়ে লেগেছে নয়াদিল্লি। ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ করে নয়াদিল্লি ও ঢাকা। তবে মমতার আপত্তিতে এতদিন চুক্তি হয়নি। সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সূত্রের খবর, তার সঙ্গে তিস্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কয়েকদিন আগে ঢাকায় দু’দেশের মধ্যে পানি সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ আট বছর পর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ। এসব কিছুই তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের পদক্ষেপ বলে মনে করছে দিল্লির কূটনৈতিক মহল।