হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোরবানির ঈদের চারদিন কেটে গেলেও গ্রামে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ এখনো ঢাকামুখী হয়নি। যার কারণে রাজধানীর সবজির বাজারগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। তবে ক্রেতা কম থাকলেও এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। শহরে থাকা মানুষকে সরবরাহ না থাকার অজুহাত দেখিয়ে সবজির দাম নেয়া হচ্ছে বেশি।
আজ শুক্রবার কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে কেজিপ্রতি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, ক্যাপসিকাম ২৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস ও মাছের দাম স্বাভাবিক। তবে বাজারে গরু ও মুরগির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি মাছের দামও তেমন বাড়েনি। ফার্মের মুরগি ১৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২শ টাকা ও দেশি মুরগি ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকা, গরুর মাংস সাড়ে ৫শ’ টাকা ও খাসির মাংস ৯শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি রুই ৪শ’ টাকা, ভারতীয় রুই ২৫০-৩শ টাকা, মিয়ানমারের রুই ৩২০ টাকা, কাতাল ৪৫০ টাকা, ফার্মের কৈ আড়াইশ’ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, ফার্মের মাগুর ৪শ-৫শ টাকা, রূপচাঁদা ৬শ’-৭শ’ টাকা, সাদা কোরাল ৭শ’ টাকা, লাল কোরাল ৬৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১ হাজার-১২শ’ টাকা, পাবদা ৫শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ঈদের আগেই বেশকিছু সবজির দাম বেড়ে যায়। ঈদের পর সবজির সরবরাহ কম থাকায় নতুন করে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে কয়েকটি সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদ করতে যারা গ্রামের বাড়ি গেছেন তাদের বেশিরভাগ এখনও ঢাকায় ফিরে আসেননি। যে কারণে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। ফলে বিক্রি হচ্ছে কম। আগামী সপ্তাহ থেকে বিক্রি বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে। কারণ কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে।