ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির, এখনো চড়া আলু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩০ বার
বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও খোলা সয়াবিন তেল।

ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫০ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি, ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসায় এই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও, মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে, ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মুরগি বিক্রেতা স্বপন হোসেন বলেন, ‘বাজারে সবজির দাম কমে আসায় মুরগির চাহিদা কিছুটা কমেছে। এতে দামও কমেছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেড়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়, দেশি রসুন কেজি মানভেদে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও তা ১৪৫ টাকা।

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় বেশ কিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, তা ক্রেতার নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৭০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, পুরনো আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালী কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা আব্দুল হালীম বলেন, ‘বাজারে এখন শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সামনে আরো কমে যাবে।’

দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। গত ১৪ নভেম্বর প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল প্রতি কেজি মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেশি হওয়ায় বাজারে দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। আমদানি বাড়লে দাম আরো কমতে পারে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যায়। তখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকা পাইকারি কিনে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এ সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি একটু বেড়েছে। তাই দামও কমেছে। এখন মানভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হাট-বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়ায় দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মহোন্তের হাটের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মো. করিম উল্লাহ বলেন, পাইকারিতে কাকরোল কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি কেজি ৪০, ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে খুচরা বাজারে এসব সবজি দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দাম কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-মুরগির, এখনো চড়া আলু

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও খোলা সয়াবিন তেল।

ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫০ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি, ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসায় এই নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও, মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে, ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মুরগি বিক্রেতা স্বপন হোসেন বলেন, ‘বাজারে সবজির দাম কমে আসায় মুরগির চাহিদা কিছুটা কমেছে। এতে দামও কমেছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদরের তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেড়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়, দেশি রসুন কেজি মানভেদে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন কেজি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও তা ১৪৫ টাকা।

বাজারে সরবরাহ বাড়ায় বেশ কিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, তা ক্রেতার নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৭০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, পুরনো আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় এবং লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালী কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা আব্দুল হালীম বলেন, ‘বাজারে এখন শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সামনে আরো কমে যাবে।’

দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। গত ১৪ নভেম্বর প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল প্রতি কেজি মানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেশি হওয়ায় বাজারে দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। আমদানি বাড়লে দাম আরো কমতে পারে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমে যায়। তখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকা পাইকারি কিনে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এ সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি একটু বেড়েছে। তাই দামও কমেছে। এখন মানভেদে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হাট-বাজারে শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়ায় দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মহোন্তের হাটের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মো. করিম উল্লাহ বলেন, পাইকারিতে কাকরোল কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি কেজি ৪০, ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে খুচরা বাজারে এসব সবজি দেড় থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।