ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলাম প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের তাগিদ দেয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০১৫
  • ৪০৯ বার

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের তাগিদ দেয় ইসলাম। বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : যার ক্ষতিকর আচরণ থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে মুমিন নয়। মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে, ‘যার ক্ষতিকর আচরণ থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে জান্নাতে যাবে না।’ বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত আরেক হাদিসে আছে, ‘যে লোক আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন স্বীয় প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ প্রতিবেশী তিন ধরনের হতে পারে : প্রথমত. মুসলমান আত্মীয় প্রতিবেশী। এ প্রতিবেশীর তিনটি অধিকার প্রাপ্য। একটি মুসলমান বলে, একটি আত্মীয় বলে, আর একটি প্রতিবেশী হিসেবে। দ্বিতীয়ত. মুসলমান কিন্তু আত্মীয় নয় এমন প্রতিবেশী। এ প্রতিবেশীর দুটি অধিকার প্রাপ্য। একটি প্রতিবেশী বলে, অন্যটি মুসলমান হিসেবে। তৃতীয়ত. প্রতিবেশী, কিন্তু মুসলমান নয় বরং বিধর্মী। এর কেবল প্রতিবেশী হিসেবে একটি অধিকার প্রাপ্য। আবু দাউদ ও তিরমিজি শরিফে বর্ণিত এক হাদিসে আছে হজরত ইবনে ওমর (রা.)-এর এক ইহুদি প্রতিবেশী ছিল। তার বাড়িতে যখনই কোনো ছাগল জবেহ করা হতো তখনই তিনি বলতেন, ‘আমাদের ইহুদি পড়শীকে কিছুটা গোশত দিয়ে এস।’ হজরত ইবনে ওমর কর্তৃক বর্ণিত, কেয়ামতের দিন গরিব প্রতিবেশী বিত্তবান প্রতিবেশীকে জড়িয়ে ধরে বলবে, ‘ইয়া পরওয়ারদেগার, একে জিজ্ঞাসা করুন, কেন সে আমায় সহযোগিতা করেনি। আমার জন্য কেন দরজা বন্ধ করে রেখেছিল?’ সব প্রতিবেশীরই কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিবেশীর প্রতি সহনশীল হওয়া। হজরত আবু হোয়ায়রা (রা.) কর্তৃক বায়হাকী বর্ণনা করেন, একবার এক লোক রসুল (সা.)-এর দরবারে এসে আরজ করল : ‘ইয়া রসুলুল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা পালন করলে আমি বেহেশতে যেতে পারব।’ রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন : ‘পরোপকারী হও।’ সে নিবেদন করল : কী করে আমি বুঝতে পারব, আমি পরোপকারী হয়েছি? রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার প্রতিবেশীর কাছে প্রশ্ন করে জেনে নাও, যদি সে বলে তুমি পরোপকারী, তাহলে তুমি পরোপকারী। আর যদি সে বলে তুমি অন্যায়কারী, তবে তুমি, অন্যায়কারী।

লেখক : ইসলামি গবেষক।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইসলাম প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের তাগিদ দেয়

আপডেট টাইম : ০৪:০২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০১৫

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের তাগিদ দেয় ইসলাম। বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : যার ক্ষতিকর আচরণ থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে মুমিন নয়। মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে, ‘যার ক্ষতিকর আচরণ থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে জান্নাতে যাবে না।’ বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত আরেক হাদিসে আছে, ‘যে লোক আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন স্বীয় প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ প্রতিবেশী তিন ধরনের হতে পারে : প্রথমত. মুসলমান আত্মীয় প্রতিবেশী। এ প্রতিবেশীর তিনটি অধিকার প্রাপ্য। একটি মুসলমান বলে, একটি আত্মীয় বলে, আর একটি প্রতিবেশী হিসেবে। দ্বিতীয়ত. মুসলমান কিন্তু আত্মীয় নয় এমন প্রতিবেশী। এ প্রতিবেশীর দুটি অধিকার প্রাপ্য। একটি প্রতিবেশী বলে, অন্যটি মুসলমান হিসেবে। তৃতীয়ত. প্রতিবেশী, কিন্তু মুসলমান নয় বরং বিধর্মী। এর কেবল প্রতিবেশী হিসেবে একটি অধিকার প্রাপ্য। আবু দাউদ ও তিরমিজি শরিফে বর্ণিত এক হাদিসে আছে হজরত ইবনে ওমর (রা.)-এর এক ইহুদি প্রতিবেশী ছিল। তার বাড়িতে যখনই কোনো ছাগল জবেহ করা হতো তখনই তিনি বলতেন, ‘আমাদের ইহুদি পড়শীকে কিছুটা গোশত দিয়ে এস।’ হজরত ইবনে ওমর কর্তৃক বর্ণিত, কেয়ামতের দিন গরিব প্রতিবেশী বিত্তবান প্রতিবেশীকে জড়িয়ে ধরে বলবে, ‘ইয়া পরওয়ারদেগার, একে জিজ্ঞাসা করুন, কেন সে আমায় সহযোগিতা করেনি। আমার জন্য কেন দরজা বন্ধ করে রেখেছিল?’ সব প্রতিবেশীরই কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিবেশীর প্রতি সহনশীল হওয়া। হজরত আবু হোয়ায়রা (রা.) কর্তৃক বায়হাকী বর্ণনা করেন, একবার এক লোক রসুল (সা.)-এর দরবারে এসে আরজ করল : ‘ইয়া রসুলুল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা পালন করলে আমি বেহেশতে যেতে পারব।’ রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন : ‘পরোপকারী হও।’ সে নিবেদন করল : কী করে আমি বুঝতে পারব, আমি পরোপকারী হয়েছি? রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার প্রতিবেশীর কাছে প্রশ্ন করে জেনে নাও, যদি সে বলে তুমি পরোপকারী, তাহলে তুমি পরোপকারী। আর যদি সে বলে তুমি অন্যায়কারী, তবে তুমি, অন্যায়কারী।

লেখক : ইসলামি গবেষক।