ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালের বেডে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঈদের দিন দুপুরে বাসার রান্না করা খাবার নিয়ে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএসএমএমইউতে সাক্ষাৎ করেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কারও সাহায্য ছাড়া একা হাঁটতে পারেন না, হুইলচেয়ারে করে তাকে চলাচল করতে হয়। ডায়াবেটিস থাকায় প্রতিদিনই তাকে ইনসুলিন নিতে হবে। রয়েছে দাঁত ও চোখের সমস্যা। ১ এপ্রিল থেকে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঈদের দিন কারা কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে ৬ জনকে দেখার অনুমতি দেয়। কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়া ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক এস্কান্দার। বেলা দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাসপাতালের কেবিন ব্লকে আসেন তারা। ছোট ছেলের বউ শ্বাশুড়ির (খালেদা জিয়া) জন্য বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন।

বেলা দেড়টায় খালেদা জিয়ার স্বজনদের বিএসএমএমইউ’র ছয়তলার কেবিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কারাগারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা খালেদা জিয়ার কেবিন কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা নাতনি, ছোট ছেলের বউসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেবার জন্য গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সাবিনা ইয়াসমিনসহ ১৫-১৬ নেতাকর্মীও কেবিন ব্লকের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নেত্রীকে স্মরণ করে। ছাত্রদলের ৫-৬ জন নেতাকর্মীকেও কেবিন ব্লকের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মানুষের মনে ঈদ আনন্দ নেই -মোশাররফ : সরকারের ‘অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার’ কারণে মানুষের মনে ঈদের ‘আনন্দ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার কোরবানির ঈদের দিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ সারা দেশের বেশির ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত, ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। মানুষ আতঙ্কিত, ঈদের আনন্দ নেই। বিএনপির পরিবারের মধ্যেও ঈদের আনন্দ নেই।

বন্দি হওয়ার আগে খালেদা জিয়া প্রতি ঈদে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন। খালেদার অনুপস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঈদের দিন জিয়ার মাজারে যান শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, নবী উল্লাহ নবী, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে আরাফাত রহমান কোকোর কবরও জিয়ারত করেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল : কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনও রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি। দুপুরে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলে অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন। দুপুরের দিকে মিছিলটি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, পল্টন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালে

আপডেট টাইম : ১০:১৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতালের বেডে পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঈদের দিন দুপুরে বাসার রান্না করা খাবার নিয়ে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএসএমএমইউতে সাক্ষাৎ করেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কারও সাহায্য ছাড়া একা হাঁটতে পারেন না, হুইলচেয়ারে করে তাকে চলাচল করতে হয়। ডায়াবেটিস থাকায় প্রতিদিনই তাকে ইনসুলিন নিতে হবে। রয়েছে দাঁত ও চোখের সমস্যা। ১ এপ্রিল থেকে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঈদের দিন কারা কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে ৬ জনকে দেখার অনুমতি দেয়। কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে ছাড়া ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক এস্কান্দার। বেলা দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাসপাতালের কেবিন ব্লকে আসেন তারা। ছোট ছেলের বউ শ্বাশুড়ির (খালেদা জিয়া) জন্য বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে আসেন।

বেলা দেড়টায় খালেদা জিয়ার স্বজনদের বিএসএমএমইউ’র ছয়তলার কেবিনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কারাগারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা খালেদা জিয়ার কেবিন কক্ষে প্রবেশ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা নাতনি, ছোট ছেলের বউসহ ছোট ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেবার জন্য গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সাবিনা ইয়াসমিনসহ ১৫-১৬ নেতাকর্মীও কেবিন ব্লকের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নেত্রীকে স্মরণ করে। ছাত্রদলের ৫-৬ জন নেতাকর্মীকেও কেবিন ব্লকের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মানুষের মনে ঈদ আনন্দ নেই -মোশাররফ : সরকারের ‘অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার’ কারণে মানুষের মনে ঈদের ‘আনন্দ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার কোরবানির ঈদের দিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ সারা দেশের বেশির ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত, ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। মানুষ আতঙ্কিত, ঈদের আনন্দ নেই। বিএনপির পরিবারের মধ্যেও ঈদের আনন্দ নেই।

বন্দি হওয়ার আগে খালেদা জিয়া প্রতি ঈদে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন। খালেদার অনুপস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঈদের দিন জিয়ার মাজারে যান শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, নবী উল্লাহ নবী, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে আরাফাত রহমান কোকোর কবরও জিয়ারত করেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল : কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার দিনও রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি। দুপুরে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলে অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন। দুপুরের দিকে মিছিলটি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, পল্টন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।