শনিবার রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার চেঙ্গী নদীর উপর রাঙ্গামাটিবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত চেঙ্গী সেতু র্নিমানের ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি ।
আর এই ঘোষণার শুভক্ষণকে কেন্দ্র করে নানিয়ারচর উপজেলায় অয়োজিত স্বল্প সময়ের সমাবেশে একত্রিত হয়েছেন সম্প্রতি রাঙ্গামাটির রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
তাদের এক সাথে দেখতে অনেকে বিস্মিত হলেও উন্নয়নের মহা সড়কে এই একত্রিত হওয়ার এই বিরল দৃশ্যে সকলে হয়েছেন আশান্বিত । চেঙ্গী সেতু সেভাবে চলাচলের অনেক দূরত্ব কমিয়ে ানবে তদ্রুপ বিপরীত মেরুতে থাকা এই সব উচ্চ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মাঝে ও দূরত্ব কমিয়ে আনতে পারবে বলে অনেকের বিশ্বাস ।
শনিবার সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর নানিয়ারচর এর সংক্ষিপ্ত সমাবেশে একই মঞ্চে ছিলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এর রাঙ্গামাটি জেলার সভাপতি ও প্রাক্তন প্রতিমিন্ত্রী দীপংকর তালুকদার , তাঁর পাশেই ছিলেন রাঙআমাটি জেলা হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা তালুকদার।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ।ুষাতন তালুকদার পরাতি করেছিলেন দীপংকর তালুকদার কে। তবে এই জয়ের পেছে উষাতন তালুকদারের বিরুদ্ধে পেশী শক্তি প্রয়োগ, অস্ত্রের মুখে ভোটারদের জিম্মি করা সহ একাধিক অভিযোগ ছিল আওয়ামী লগি মনোনিত প্রার্থীর।
এখনো আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে বলা হয় উষাতন তালুকদার অসন্তোষের মুখে দীপংকর তালুকদারের জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। অপরদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরিপূর্ন বাস্তবায়নের অসহযোগ আন্দোলন আহবান কারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংতি সমিতি এবং তাদের সহযোগী অঙ্গ সংগঠন সমূহের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দতে থাকেন দীপংকর তালুকদার।
বলা যায় দীপংকর তালুকদারের উপরেই তাদের সমালোচনার সিংহ ভাগ তীর ছোড়া হয়। ফলে এই দুই নেতার একই সাথে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় কদাচিৎ । বিশেস করে অসহযোগ আন্দোলন শুরুর পর দুই ভিন্ন মেরুর নেতাকে একসাথে দেখা যায়নি অনেক দিন।
সর্বশেষ পার্বত্য চট্গ্রাম সংসদীয় দলের সভায় আওয়ামী লীগ দলীয় মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু রাঙ্গামাটি জেলা পরিষ সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য এবং জেলা পরিষদের বিপক্ষে উষাতন তালুকদারের বক্তব্যকে সমর্থন করার খবর প্রকাশের জের ধরে জেলা পরিষদের সাথে হঠাৎ করেই সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগমের। বলা যায় এখন জলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগন ফিরোজা বেগম এম.পির উপর ক্ষুদ্ধ ।
দলীয় সংসদ হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে ফিরোজা বেগম চিনুর অবস্থান এই অভিযোগে পরিষদ এখন চিনু এমপির সাথে দূত্ব বজায় রেখেছে। একই বিষয়টি এখন জেলা আওয়ামী লেিগর রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে । সেই হিসাবে একই অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মূছা মাতব্বরের এবং সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম এম.পির উপস্থিতিও ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন । যদিওবা ফিরোজা বেগম চিনু এম.পি পরিষদের বিপক্ষে দেয়া তাঁর বক্তব্যকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন।
অপর দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত জেএসএস সংস্কার পন্থী নেতা হিসাবে পরিচিত শক্তিমান চাকমা র সাথে মোটেই ভালো সম্পর্ক নেই অপর স্থানীয় রাঝনেতিক দল পাবত্য চট্ট্রাম জনসংহতি সমিতির। উপজেলা চেয়ারম্যান নিবাচিত ওয়ার শক্তিমান চাকমা রাঙ্গামাটি জেলা সদরেই আসতে পারছেননা অনেক দিন। সেই জেএসএস এর কেন্দ্রীয় নেতা সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার এর সাথে একই মঞ্চে শক্তিমান চাকমার উপস্থিতিও কারো দৃস্টি এড়ায়নি।
চেঙ্গী নদীর উপর চেঙ্গী সেতু নির্মাণের শুভক্ষণে ভিন্নমতের সকল নেতৃবৃন্দ সকল দ্বন্ধ ভূলে গিয়ে যেভাবে এক হয়েছেন ঠিক অনুরুপ ভাবে রাঙ্গামাটি জেলার সার্বজনীন প্রতিটি উন্নয়ন কাজে এই সকল নেতারা সকল কিছুকে দূরে ঠেলে যদি এক হতে পারে তালে রাঙ্গামাটি জেলায় সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অধিকতর গতিশীলতা আসবে। পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সকলের ধারনা।