হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ডেঙ্গু জ্বরে হামজা (১২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসতালে তার মৃত্যু হয়।
শিশু হামজা ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্ডা ইউনিয়নের নশিংপুর গ্রামের মোঃ ইসমাইল মিয়া ছেলে।
জানা যায়, প্রচন্ড জ্বর নিয়ে অভিভাবকরা শিশুটিকে এদিন বিকেলে ভৈরব উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর শরীরে স্যালাইন পুশ করলে কিছু ঔষধ দেয় খেতে। স্যালাইন পুশ করার ১০ মিনিট পর শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রিয়াসাদ জানান, বিকাল ৫টার আগে শিশুটিকে তার বাবা-মা নিয়ে আসে। এসময় শিশুটির শরীরে প্রচন্ড জ্বর দেখতে পায়। প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রমানিত হয়েছে ডেঙ্গু নিয়েই শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়। স্যালাইন পুশ করার কিছুক্ষণ পরই শিশুটি মারা যায়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা হলো- জোনায়েত (৪৫), রুহুল আমীন (৪০), সবুজ (৩৫), নজরুল (৩০) ও সাবিদা বেগম (৬০)। এদের বাড়ি ভৈরবসহ আশেপাশের এলাকায়। তবে ৫ জনই ঢাকা থেকে তাদের বাড়ি আসার পর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহমেদ জানান, গত দুই সপ্তাহ যাবত প্রতিদিন হাসপাতালে ১০/১২ জন ডেঙ্গু রোগী আসছে। সামান্য আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হচ্ছে। এখনও হাসপাতালে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগ থেকে এড়াতে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।