ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু হলে যেসব খাবার উপকারী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯
  • ২১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পানিশূন্যতা দূর করতে এবং প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে এরকম খাবার ডেঙ্গু হলে খাওয়া উপকারী। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ডেঙ্গুর প্রভাব কমানোর খাবার সম্পর্কে জানানো হল।

পেঁপে পাতা: পেঁপে প্যাপাইন ও ক্যাইমোপাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব কমায়। হজমের সমস্যা দূর করে।

৩০ মি.লি. পেঁপে পাতার রস রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে এবং ডেঙ্গু চিকিৎসায় সাহায্য করে।

ডালিম: ডালিম উচ্চ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ এবং এর খনিজ উপাদান শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডালিম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ক্লান্তি ও দুর্বলভাব কমায়। এটা লৌহের ভালো উৎস এবং রক্তের জন্য উপকারী। এটা রক্তের সাধারণ প্লাটিলেট রক্ষা করে যা ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। এই সকল কারণে প্রাচীনকাল থেকে শরীর সুস্থ রাখতে ডালিম খাওয়া হয়।

ডাবের পানি: ডেঙ্গুর কারণে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই, এই সময় ডাবের পানি খাওয়া উপকারী। এটা ইলেক্ট্রোলাইটস ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ।

হলুদ: হলুদের অ্যান্টিসেপ্টিক বিপাক বাড়ায়। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপশমে সাহায্য করে।

কমলা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। কমলার কোঁয়া এবং রস ডেঙ্গুর ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।

পালং শাক: পালং লৌহ ও ওমেগা-ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটা রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত

তৈলাক্ত খাবার: এই অবস্থায় তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তেল-জাতীয় খাবার রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। তৈলাক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।

মসলাদার খাবার: ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। মসলাদার খাবার যকৃতে অ্যাসিড সৃষ্টি করে আলসার এমনকি যকৃতের দেয়ালে ক্ষয় তৈরি করতে পারে। এই ক্ষয়ের কারণে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হ্রাস পায়।

ক্যাফিনেইটেড পানীয়: ডেঙ্গু হলে শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায় কিন্তু ক্যাফিনেইটেড পানীয় মোটেও এর উপযোগী নয়। আর্দ্রতা ও আরামদায়ক এমন পানীয় পান করা উচিত। ক্যাফিনেইটেড পানীয় হৃদযন্ত্রের গতি বাড়ায়, দুর্বলতা বাড়ায় এবং পেশির ক্ষতি করে থাকে।

সবজি বিহীন খাবার: এই সময় সবজি বহুল খাবার বাদ দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক না। তাছাড়া এই সময় শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। তাই সাধারণ পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি পান করুন।

সতর্কতা

প্রাথমিক লক্ষণের পরেই ডেঙ্গু দ্রুত বাড়তে পারে। তাই কোনো লক্ষণ চোখে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপরের পদ্ধতিগুলো প্রতিকারক হিসেবে নয় বরং চিকিৎসার পাশাপাশি সম্পূরক খাবার হিসেবে খাওয়া উপকারী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গু হলে যেসব খাবার উপকারী

আপডেট টাইম : ১০:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পানিশূন্যতা দূর করতে এবং প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে এরকম খাবার ডেঙ্গু হলে খাওয়া উপকারী। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ডেঙ্গুর প্রভাব কমানোর খাবার সম্পর্কে জানানো হল।

পেঁপে পাতা: পেঁপে প্যাপাইন ও ক্যাইমোপাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব কমায়। হজমের সমস্যা দূর করে।

৩০ মি.লি. পেঁপে পাতার রস রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে এবং ডেঙ্গু চিকিৎসায় সাহায্য করে।

ডালিম: ডালিম উচ্চ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ এবং এর খনিজ উপাদান শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডালিম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ক্লান্তি ও দুর্বলভাব কমায়। এটা লৌহের ভালো উৎস এবং রক্তের জন্য উপকারী। এটা রক্তের সাধারণ প্লাটিলেট রক্ষা করে যা ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। এই সকল কারণে প্রাচীনকাল থেকে শরীর সুস্থ রাখতে ডালিম খাওয়া হয়।

ডাবের পানি: ডেঙ্গুর কারণে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই, এই সময় ডাবের পানি খাওয়া উপকারী। এটা ইলেক্ট্রোলাইটস ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ।

হলুদ: হলুদের অ্যান্টিসেপ্টিক বিপাক বাড়ায়। দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে দ্রুত উপশমে সাহায্য করে।

কমলা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। কমলার কোঁয়া এবং রস ডেঙ্গুর ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।

পালং শাক: পালং লৌহ ও ওমেগা-ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটা রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত

তৈলাক্ত খাবার: এই অবস্থায় তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তেল-জাতীয় খাবার রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়ায়। তৈলাক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।

মসলাদার খাবার: ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। মসলাদার খাবার যকৃতে অ্যাসিড সৃষ্টি করে আলসার এমনকি যকৃতের দেয়ালে ক্ষয় তৈরি করতে পারে। এই ক্ষয়ের কারণে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি হ্রাস পায়।

ক্যাফিনেইটেড পানীয়: ডেঙ্গু হলে শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায় কিন্তু ক্যাফিনেইটেড পানীয় মোটেও এর উপযোগী নয়। আর্দ্রতা ও আরামদায়ক এমন পানীয় পান করা উচিত। ক্যাফিনেইটেড পানীয় হৃদযন্ত্রের গতি বাড়ায়, দুর্বলতা বাড়ায় এবং পেশির ক্ষতি করে থাকে।

সবজি বিহীন খাবার: এই সময় সবজি বহুল খাবার বাদ দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক না। তাছাড়া এই সময় শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। তাই সাধারণ পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি পান করুন।

সতর্কতা

প্রাথমিক লক্ষণের পরেই ডেঙ্গু দ্রুত বাড়তে পারে। তাই কোনো লক্ষণ চোখে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপরের পদ্ধতিগুলো প্রতিকারক হিসেবে নয় বরং চিকিৎসার পাশাপাশি সম্পূরক খাবার হিসেবে খাওয়া উপকারী।