হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাতের আঁধার আলো করে ফোটে ফুলটি। যে কারণে ফুলটিকে ডাকা হয় ‘নাইট কুইন’ নামে। রাতের সঙ্গে রয়েছে নাইট কুইন ফুলের বিশেষ সম্পর্ক। সন্ধ্যা থেকেই একটু একটু করে ফোটার প্রস্তুতি নিতে নিতে গভীর রাতে তার অপার সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয় ফুলটি। সারা রাত সৌন্দর্য আর সৌরভ বিলিয়ে ভোরের আলোয় মিলিয়ে যায়। ‘এক রাতের রানী’ নাইট কুইন ফুলকে ধরা হয় সৌভাগ্য আর পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে। বলা হয়, যার বাড়িতে এ ফুল ফোটে তার বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে ফুলটি!
কিশোরগঞ্জ শহরেও গত মঙ্গলবার রাতে প্রকৃতির অবদানস্বরূপ ফুটেছিল বিস্ময়ঘেরা ‘নাইট কুইন’ ফুল। শহরের আলোরমেলা এলাকায় জেলা জজের বাসভবনের টবে একটি নয় ফুটে দু’টি নাইট কুইন। এছাড়া ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে আরো একাধিক ফুল। রাত ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, মৃদু সৌরভে ভরা নাইট কুইন ফুল দেখতে সাদা রঙের পদ্ম ফুলের মতো। গাছের পাতা থেকে জন্ম নেয়া ফুল দু’টি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি মন মাতানো গন্ধ। যেন প্রকৃতিপ্রেমীরদের জন্য এক অনন্য উপহার।
কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান খান জানান, সন্ধ্যা থেকেই ফুল দু’টি প্রস্ফুটিত হচ্ছিল। রাত বাড়ার সাথে সাথে নাইট কুইন ফুল দু’টি নিজেদের সৌন্দর্য মেলে ধরে সৌরভ ছড়াতে থাকে। জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান খান বলেন, ফুলটিকে সচরাচর দেখা যায় না। দুর্লভ এই ফুলের জন্ম হয় পাতা থেকে। আর সেই পাতা থেকেই প্রস্ফুটিত হয় অসাধারণ নাইট কুইন ফুল। পাতার যেকোনো দিকে ছোট একটি গুটির মতো বের হয়। এই গুটি আস্তে আস্তে বড় হয়ে ফুলে পরিণত হয়।
জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান খানের সহধর্মিণী জেলা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের সিনিয়র প্রশিক্ষক নাজমুন নাহার কাদীর জানান, তিনি আগে কখনো নাইট কুইন ফুল দেখেননি। এখানে এসে গাছটি দেখার পর থেকেই পরিচর্যা করেছেন আর দিন গুনছেন ‘কবে দেখা মিলবে রাতের রানীর’। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে গাছটিতে দুটি নাইট কুইন ফুল চোখে পড়ে তার।
বিস্মিত চোখে বিস্ময়কর রাতের রানীর সৌন্দর্য আর সৌরভ উপভোগ করেছেন তিনি। নাজমুন নাহার কাদীর এর সঙ্গে আলাপচারিতার মাঝেই নাইট কুইন ফোটার খবরে একনজর দেখতে জেলা জজের বাসভবনে বিচার বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সপরিবারে ছুটে আসেন। নাজমুন নাহার কাদীর বলেন, বাসায় নাইট কুইন ফুল ফুটেছে, এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেও ভীষণ ভালো লাগছে।