হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ বছরের এক পথশিশুকে ভর্তি না করার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধরা পড়লেও হাসপাতালে ভর্তি না করায় শিশুটি গাবতলী বাস টার্মিনালেই পড়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
বিষয়টি সময় সংবাদের নজরে আসলে হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদক ও চিত্র সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন কয়েকজন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনালে পড়ে থাকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ বছরের পথশিশু নাহিদ।
অন্য পথশিশু ও টার্মিনালের এক শ্রমিক মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে রক্ত পরীক্ষা করানোর পর টার্মিনালে নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ পরদিন রিপোর্ট সংগ্রহের পর শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও ভর্তি করেননি চিকিৎসকরা।
শিশুর বাবা বলেন, আমরা ওকে নিয়ে গেলাম। তিনি বসে বসে টাকা গুণছেন কিন্তু ওর টেস্ট করলেন না। খবর পেয়ে মিরপুরের এক বাসিন্দা টার্মিনালে পড়ে থাকা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এসময় হাসপাতালে ভর্তি না করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন কর্তব্যরত কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। একপর্যায়ে সময় সংবাদের সাংবাদিকের ওপরও চড়াও হন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত পথ শিশুটিকে ভর্তি না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান হাসপাতালটির পরিচালক।
তিনি বলেন, আমরা ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নিচ্ছি না, এটা ঠিক না। তবে সব ডেঙ্গু রোগীকেও আমাদের পক্ষে ভর্তি করা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বুধবার দিনভর এসব ঘটনার পর পথশিশুটির সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন শাহীন নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা।