হাওর বার্তা ডেস্কঃ জন্মদিনে ববিতাকে চমকে দেন দুই জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ। ৩০ জুলাই ছিল ববিতার জন্মদিন। অবশ্য এবার জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজনই করেননি চলচ্চিত্রের এই বরেণ্য অভিনেত্রী। সারা দিন বাসায় ছিলেন, শুধু একজন বন্ধুর অনুরোধে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাইরে বের হন। রাতের খাবার খেয়ে পৌনে ১০টায় বাসায় ফিরে চমকে যান অনুজপ্রতিম দুই নায়ককে দেখে। তাঁদের শুভেচ্ছা আর কেক কাটার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের শেষ সময়টা আরও রঙিন হয় বলে জানান ববিতা।
ববিতার সঙ্গে অনেক সিনেমায় পর্দা ভাগাভাগি করেছেন ফেরদৌস ও রিয়াজ। তাঁরা দুজন খুব ভালো বন্ধু। দেশের কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ মিস করতে চাননি। পরিচয়ের পর থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। তাই তো সারা দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যার পর ঠিকই ফুল আর কেক নিয়ে ফেরদৌস ও রিয়াজ হাজির হন ববিতার বাসায়। সঙ্গে ছিলেন রিয়াজের স্ত্রী তিনা ও মেয়ে।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় ববিতার বাসায় চমৎকার এক আড্ডায় মেতে ওঠেন ফেরদৌস ও রিয়াজ। দেড় ঘণ্টার সেই আড্ডায় অভিনয়জীবনের নানা স্মৃতি, বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রের সংকটসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উঠে আসে।
ববিতার গুলশানের বাসায় সাংবাদিককে ফেরদৌস বলেন, ‘দেশবরেণ্য অভিনয়শিল্পীকে তাঁর জীবনের বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা আর শুভকামনা জানাতে পেরে ভালো লাগছে। তিনি আমাদের খুব স্নেহ করেন। আমরা একসঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি, তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।’
ফেরদৌস আর রিয়াজকে নিয়ে ববিতা বলেন, ‘ওরা দুজন এমনিতে আমার খুব স্নেহের। জন্মদিনে কোনো আয়োজন রাখিনি, এরপরও মনে করে ওরা সময় বের করে আমার বাসায় এসেছে। খুব ভালো লেগেছে।’
কয়েক বছর ধরে দেশে থাকলে ববিতার জন্মদিন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে কাটে। আর কানাডায় থাকলে একমাত্র ছেলে অনীকের সঙ্গে ঘোরাঘুরি, আড্ডা আর খাওয়াদাওয়ায় কেটে যায়। এবার কোনো আয়োজন রাখেননি, তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও আসেনি। জানালেন, কিছুদিন আগেই তাঁর বাসায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে চমৎকার আয়োজন করেছেন। তবে বাসায় না এলেও এই শিশুরা তাঁকে ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
ববিতা বলেন, ‘এবার আমি একেবারে একা। ছোট বোন চম্পা দেশের বাইরে, সে দেশে থাকলে দৌড়াদৌড়ি করে সব আয়োজন করে। বড় আপা সুচন্দা তাঁর পারিবারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আমার একার পক্ষে সম্ভব না। তা ছাড়া জন্মদিন মহা ধুমধাম করে আয়োজনের পক্ষপাতি আমি না। চুপচাপ করি, একটু অন্যভাবে এই দিনটা উদ্যাপন করি। তাতেই আমার আনন্দ।’