ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩১ জুলাই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
  • ২৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো, কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির অর্জন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি (মনিটরিং পলিসি স্টেটমেন্ট) ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশে। এটি সর্বশেষ ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ কম। যদিও গত ৩০ জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। আগের বছরের জুনের শেষে যা ছিল ৯ লাখ ৭ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা।

জানা গেছে, নির্বাচনের বছর হওয়ায় ব্যাংকগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করেছে। এর সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণ ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ব্যাংকগুলোতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের বছরে ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের লাগাম টানতে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) এবং সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই ব্যাংক খাতে তৈরি হয় তারল্যের সংকট।

মূলত, মুদ্রানীতি ঘোষণার মধ্যদিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ঋণ প্রবৃদ্ধির একটি আগাম ধারণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদহার, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি প্রাক্কলন করা হয়। সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ।

সূত্র জানায়, নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ চলতি মুদ্রানীতির চেয়ে বেশ খানিকটা কমিয়ে ধরা হচ্ছে। যদিও তা চলতি মুদ্রানীতির প্রকৃত অর্জনের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

৩১ জুলাই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

আপডেট টাইম : ০১:০৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো, কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির অর্জন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি (মনিটরিং পলিসি স্টেটমেন্ট) ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশে। এটি সর্বশেষ ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ কম। যদিও গত ৩০ জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। আগের বছরের জুনের শেষে যা ছিল ৯ লাখ ৭ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা।

জানা গেছে, নির্বাচনের বছর হওয়ায় ব্যাংকগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করেছে। এর সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ঋণ বিতরণ ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ব্যাংকগুলোতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের বছরে ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের লাগাম টানতে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) এবং সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই ব্যাংক খাতে তৈরি হয় তারল্যের সংকট।

মূলত, মুদ্রানীতি ঘোষণার মধ্যদিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ঋণ প্রবৃদ্ধির একটি আগাম ধারণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদহার, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি প্রাক্কলন করা হয়। সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮.২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ।

সূত্র জানায়, নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ চলতি মুদ্রানীতির চেয়ে বেশ খানিকটা কমিয়ে ধরা হচ্ছে। যদিও তা চলতি মুদ্রানীতির প্রকৃত অর্জনের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হবে।