হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এটি ‘মহামারি’ আকার ধারণ করেনি, ঢাকা শহরে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার এখনও মহামারি আকার নিয়েছে বলা যায় না। মহামারির একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে।
ওপরের বক্তব্যটি ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের। অথচ প্রতিদিনই ডেঙ্গু তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ডেঙ্গুর তীব্রতা এত যে, পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হলেও আশেপাশের জেলা সহ সারা দেশে ছড়িয়ে পরেছে মশাবাহিত এই রোগ।
প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ৮২৪ জন রোগী ভর্তির তথ্য পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া আক্রান্ত অনেকে জরুরি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এই রোগীদের তথ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় না।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। ডিজি জানান, পুরো ঢাকাই এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনে শয্যা বাড়িয়ে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষেশায়িত হাসপাতালগুলোতেও এ রোগের চিকিৎসা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
তিনি জানান, বৈঠক করে বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি এনএস-১ সর্বোচ্চ ৫০০টাকা, আইজএম+আইজিজি সর্বোচ্চ ৫০০টাকা, সিবিসি সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। কোন হাসপাতালে এর বেশি ফি নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে ডেঙ্গু রোগীর জন্য ফি কম নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। পুরো বিষয় অধিদপ্তরের ১০টি টিম মনিটরিং করবে।