ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ায় বর্ষার পানিতে তিন গ্রাম মিলে দ্বিতল ঈদগাহ মাঠে মুসুলীদের নামাজ আদায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯
  • ২৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ব্যারিষ্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি ২য় তলা ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে তিন গ্রামের একটি আবাদি মাঠে ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। তিন গ্রামের সীমানায় আরসিসি উচু পিলারের উপর ঢালাই দিয়ে মাঠ বানানো হয়েছে।

বর্ষাকালের শুরু থেকেই মাস চারেক সময় পুরো মাঠ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে। স্থানীয় নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকুল হাট গ্রামবাসীদের ঈদ নামাজ পড়তে এ ঈদগাহ মাঠটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষাকালে এক সঙ্গে প্রায় ২শ ৫০ হাজার মুসুল্লী জামাতে নামাজ পড়তে পারবে। আর শুকনো মৌসুমে নিচতলা ও দোতলা মিলে নামাজ আদায় করতে পারবে প্রায় ৫ হাজার মুসুল্লীগণ।

এর পেছনে এ যাবত প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। বিগত ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। পুরোপুরি নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঈদগাহ মাঠটিতে নামাজ পড়তে গ্রাম তিনটির বসতিদেরকে বাড়ী থেকে নৌকায় আসা যাওয়া করতে হয়।

এ ঈদগাহ মাঠ নির্মানের মুল পরিকল্পনাকারী হলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, জ্যোতি প্রকাশ এর প্রকাশক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঈদগাহ মাঠটি আগে থেকে থাকলেও বর্ষাকালে পানি ওঠায় ঈদের নামাজ পড়া যেত না। বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের গ্রাম তিনটির বাসিন্দাদের সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তি বর্গের টাকা সহায়তা নিয়ে এটি করা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরো মোটা অংকের টাকার দরকার রয়েছে। তার বক্তব্যে, ইচ্ছে থাকলে এমন উদ্যোগের বাস্তবায়ন সহজেই করা যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লাপাড়ায় বর্ষার পানিতে তিন গ্রাম মিলে দ্বিতল ঈদগাহ মাঠে মুসুলীদের নামাজ আদায়

আপডেট টাইম : ১১:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ব্যারিষ্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি ২য় তলা ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে তিন গ্রামের একটি আবাদি মাঠে ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। তিন গ্রামের সীমানায় আরসিসি উচু পিলারের উপর ঢালাই দিয়ে মাঠ বানানো হয়েছে।

বর্ষাকালের শুরু থেকেই মাস চারেক সময় পুরো মাঠ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে। স্থানীয় নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকুল হাট গ্রামবাসীদের ঈদ নামাজ পড়তে এ ঈদগাহ মাঠটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষাকালে এক সঙ্গে প্রায় ২শ ৫০ হাজার মুসুল্লী জামাতে নামাজ পড়তে পারবে। আর শুকনো মৌসুমে নিচতলা ও দোতলা মিলে নামাজ আদায় করতে পারবে প্রায় ৫ হাজার মুসুল্লীগণ।

এর পেছনে এ যাবত প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। বিগত ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। পুরোপুরি নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঈদগাহ মাঠটিতে নামাজ পড়তে গ্রাম তিনটির বসতিদেরকে বাড়ী থেকে নৌকায় আসা যাওয়া করতে হয়।

এ ঈদগাহ মাঠ নির্মানের মুল পরিকল্পনাকারী হলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, জ্যোতি প্রকাশ এর প্রকাশক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ঈদগাহ মাঠটি আগে থেকে থাকলেও বর্ষাকালে পানি ওঠায় ঈদের নামাজ পড়া যেত না। বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের গ্রাম তিনটির বাসিন্দাদের সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তি বর্গের টাকা সহায়তা নিয়ে এটি করা হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরো মোটা অংকের টাকার দরকার রয়েছে। তার বক্তব্যে, ইচ্ছে থাকলে এমন উদ্যোগের বাস্তবায়ন সহজেই করা যায়।