হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৯তম জন্মদিন আজ (২৭ জুলাই)।
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ ঢাকায় ১৯৭১ সালের এইদিনে জন্মগ্রহণ করেন জয়। প্রয়াত প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্পতির প্রথম সন্তান তিনি। দেশ স্বাধীনের পর জয়ের নাম রাখেন নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা শেখ হাসিনা ও খালা শেখ রেহানা লন্ডনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। পরবর্তীতে জয় তার মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে।
ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। পরবর্তীতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনের বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন জয়। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয়কে তার পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জয়। তিনি এক কন্যার জনক।
বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
দেশ গঠনে তরুণদের মতামত, পরামর্শ শুনতে জয়ের ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দুটি প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এছাড়া তরুণ উদ্যোক্তা ও তরুণ নেতৃত্বকে একসঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত করতে তরুণদের বৃহত্তম প্ল্যাটফরম ‘ইয়াং বাংলার’ সূচনা করেন।