‘কারো তাবেদারী করতে পারবে‍া না’ ক্ষোভে রাজনীতি থেকে বিদায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে রাজনীতিকে বিদায় জানালেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন। স্ট্যাটাসে তিনি নানা বিরম্বনার কথা তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ বিষয়ে লেখেন, আমি রাজনীতি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে বাসায় থাকবো। আমি আমার বাচ্চাদের সময় দিতে পারি নাই পেটে বাচ্চা নিয়েও আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাকে প্রধানমন্ত্রী এমপি বানিয়েছিলেন এর জন্য ধন্যবাদ।

বর্তমান রাজনীতির প্রতি অনিহা জানিয়ে তিনি লেখেন, আমি বর্তমান রাজনীতিতে বেমানান, আমি এত তাবেদারী করতে পারবো না। আমি রাজনীতির জন্য আনেক হিসেব করে পথ চলেছি, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেই নাই। জীবনে প্রতিটি মুহুর্তে সতর্ক পথ চলেছি কখনও ভুল পথে পা ফেলি নাই তারপরও সবাই বলে আমি যোগ্য না কারণ আমার কাছে প্রার্থী হওয়ার মত অর্থ নেই।

নারী হওয়া আজন্ম পাপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী এমপি হলে তাদের কেবল নারী ইস্যুতে কাজ করার অধিকার আছে মানুষ হিসেবে সকলের কাজ করার অধিকার নেই। একজন নারী সর্বত্র এত পরীক্ষা দেয় তাও তারাই খারাপ অযোগ্য। নারী ক্ষমতায়ন তখনই হবে যখন ঘরে বাহিরে সিদ্ধান্তে নারীর ও ভূমিকা থাকবে।

তিনি বলেন, আমি একজন ভিতু মানুষ হয়ে থাকতে চাই না সত্য কথা বলতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাই। আমি যদি খারাপ হই তবে আমি মেনে নিবো তবে মিথ্যে অপবাদ মেনে নিবো না, আমাকে হটাতে অনেক মিথ্যে অপবাদ দেয়া হয়েছে যা জেনে আমি ক্ষিপ্ত। চামচামি করা আমার নিয়মে নেই, মেয়ে মানুষ তুমি এভাবে চলতে পারবে না ওভাবে চলতে পারবে না এসব আমি মেনে নিতে পারি না আমি স্বাধীন। আমি পাপ কে ঘৃনা করি তা যদি পরিবারের কেউ ও হয় তাকে ও ত্যাগ করি যা আমার কাছের মানুষরা জানে।

তিনি আরও লেখেন, আমার কাছে কারো কিছু চাওয়ার থাকলে দূরে থাকেন কারন আমি কারো জন্য কিছু করার ক্ষমতা রাখি না, আমি কেবলই শূন্য। আমি সংগ্রাম যুদ্ধ করার শক্তি রাখলেও সকলের নত মাথা আমাকে বিরত হওয়ার বার্তা দেয়। পরাজিত সৈনিকের মত খুঁড়িয়ে হাঁটার চাইতে না হাঁটাই ভালো। বিদায় প্রাণের সংগঠন ক্ষমতায় নাই বা পেলে দূরদিনের কর্মী হবো যদি দেহে থাকে প্রাণ।

বিভিন্ন সময়ে রাজপথে আন্দোলনে সাবিনা আক্তার, তার ফেসবুক থেকে নেয়া

উল্লেখ্য, সাবিনা আক্তার তুহিন ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমাবস্থায় নির্বাচিত অপর ৪৭ জন সদস্যের সঙ্গে ‘সংসদ সদস্য’ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বর্তমানে তিনি যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি। দলের আন্দোলন ও সংগ্রামে রাজপথে বরাবরই সক্রিয় এই নেত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর