ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে ফের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯
  • ২৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১১দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ফের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। সারাদেশে যাত্রী, পণ্য ও তেলবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে তারা।

এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা শাখার মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

বাংলা‌দেশ নৌশ্রমিক ফেডা‌রেশ‌নের ডা‌কে শ্রমিকদের এই কর্মসূচি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাক‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন সংগঠ‌নের ব‌রিশা‌লের সভাপ‌তি হা‌শেম আলী।

তি‌নি জানান, এর আগে ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নৌধর্মঘট ডাকা হ‌লে ৪৫ দি‌নের ম‌ধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই ফের ১১ দফা দাবি আদায়ের ল‌ক্ষ্যে ধর্মঘট ডাকা হ‌য়ে‌ছে বলে তিনি জানান।

বুধবার সকালে ব‌রিশাল নদী বন্দর থে‌কে অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার রু‌টের কো‌নো নৌযান ছে‌ড়ে যায়‌নি ব‌লে জানি‌য়ে‌ছেন শ্রমিক নেতা হা‌শেম আলী। এদিকে নৌধর্মঘটের ফ‌লে যাত্রী‌দের ব্যাপক ভোগা‌ন্তি লক্ষ্য করা গে‌ছে ব‌রিশাল নদী বন্দ‌রে।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম বলেন, গত ২০ জুলাই সভা করে ২৩ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অবিরাম শ্রমিক ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা আদায়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের প্রথম দিন শ্রমিক অধিদফতর, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৪৫ দিনের সময় নেয় নৌযান মালিকপক্ষ।

শাহ আলম বলেন, তাদের আশ্বাসে ওইদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ত এ পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। তাই ফের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২০ জুলাই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। এ কথা জানার পরেও এই তিন দিনে মালিকপক্ষ থেকে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ পর্যন্ত শ্রম অধিদফতর ও নৌযান মালিক সংগঠন সমঝোতার কোনো উদ্যোগও নেয়নি। এ কারণে শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছে।

মোংলা বন্দরের একজন ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বলেন, নৌযান শ্রমিকদের এ কর্মবিরতিতে বন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানি-রফতানিকারকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সারাদেশে ফের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১১দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ফের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। সারাদেশে যাত্রী, পণ্য ও তেলবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ রেখে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে তারা।

এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা শাখার মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

বাংলা‌দেশ নৌশ্রমিক ফেডা‌রেশ‌নের ডা‌কে শ্রমিকদের এই কর্মসূচি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাক‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন সংগঠ‌নের ব‌রিশা‌লের সভাপ‌তি হা‌শেম আলী।

তি‌নি জানান, এর আগে ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নৌধর্মঘট ডাকা হ‌লে ৪৫ দি‌নের ম‌ধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই ফের ১১ দফা দাবি আদায়ের ল‌ক্ষ্যে ধর্মঘট ডাকা হ‌য়ে‌ছে বলে তিনি জানান।

বুধবার সকালে ব‌রিশাল নদী বন্দর থে‌কে অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার রু‌টের কো‌নো নৌযান ছে‌ড়ে যায়‌নি ব‌লে জানি‌য়ে‌ছেন শ্রমিক নেতা হা‌শেম আলী। এদিকে নৌধর্মঘটের ফ‌লে যাত্রী‌দের ব্যাপক ভোগা‌ন্তি লক্ষ্য করা গে‌ছে ব‌রিশাল নদী বন্দ‌রে।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম বলেন, গত ২০ জুলাই সভা করে ২৩ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অবিরাম শ্রমিক ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা আদায়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের প্রথম দিন শ্রমিক অধিদফতর, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৪৫ দিনের সময় নেয় নৌযান মালিকপক্ষ।

শাহ আলম বলেন, তাদের আশ্বাসে ওইদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ত এ পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। তাই ফের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২০ জুলাই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। এ কথা জানার পরেও এই তিন দিনে মালিকপক্ষ থেকে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ পর্যন্ত শ্রম অধিদফতর ও নৌযান মালিক সংগঠন সমঝোতার কোনো উদ্যোগও নেয়নি। এ কারণে শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছে।

মোংলা বন্দরের একজন ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল বলেন, নৌযান শ্রমিকদের এ কর্মবিরতিতে বন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানি-রফতানিকারকরা।