বিচার ব্যবস্থায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী্। হ্যাপীর করা ধর্ষণ মামলা থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতি দেয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
আদালতের আদেশের পর বুধবার ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। এখন বুঝতে পারছি আইন দুর্বলের জন্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু বিচারের আশায় অচিরেই হাইকোর্টে আপিল করব।’
ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিনা ইসলাম বুধবার হ্যাপির নারাজির আবেদন নামঞ্জুর করে মামলা থেকে রুবেলকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেন। এর আগে রবিবার নাজনীন আক্তার হ্যাপি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রুবেলের অব্যাহতির ওপর নারাজি দেন।
হ্যাপিকে মামলায় আইনি সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার ও রুবেলকে আইনি সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আসাদ।
হ্যাপি আরো বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় অচিরেই হাইকোর্টে আপিল করব। এই যুদ্ধে আমি হারবো না। আমি আমার আইনজীবীকে জোর দিয়ে বলেছি, তিনি তিন-চারদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন।’
২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন, ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা মোট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন আসামি রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের মিরপুরের জিআর শাখায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দানের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠান।
২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ মামলাটি বদলি করেন।