গেজেট ও মুক্তিবার্তায় নাম না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে চাঁদপুরের ৫৭৩ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিত করেছে সরকার।
পুনর্বিবেচনার জন্য ৩১ জন আপিলকারী তাদের স্বপক্ষে দাখিলকৃত কাগজপত্র আবেদন করেছেন। যাচাই-বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আবার ফেরৎ দেয়া হয়েছে। বাকি ৫৪২ জন মুক্তিযোদ্ধা এখনও আবেদনই করেননি।
চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন জানান, ভাতা স্থগিত মুক্তিযোদ্ধারা আপিল আবেদনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আপিল খুবই কম। যারা পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেছেন তাদের কাগজপত্র পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে।
স্থানীয় সমাজ সেবা অফিস থেকে জানা গেছে, ভাতা স্থগিত মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশই কাগজপত্র অসম্পূর্ণ রয়েছে। গেজেট ও মুক্তিবার্তায় অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নেই। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বছরের পর বছর এসব মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণ করেছেন।
কেউ বয়স বাড়িয়ে, কেউ সার্টিফিকেট জাল করে কিংবা কেউবা ভুল তথ্য দিয়ে এসব ভাতা নিয়েছেন। তাই যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে এসব বিষয় প্রকাশ পাচ্ছে বলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তারা জানান।
ভাতা স্থগিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই বিগত দিনে যে ভাতা নিয়েছেন তা ফেরৎ দেয়া হবে কিনা সে নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডলের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভাতা স্থগিত মুক্তিযোদ্ধারা আপিল করলে তা সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠনোসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ওই সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, উপজেলা কমান্ডার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।