হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাবনায় মানসিক হাসপাতালের সেবার প্রদানে হয়রানি, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, খাবারসহ ওষুধ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালায় করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। পাশাপাশি কুষ্টিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরকারি গাড়ি ব্যবহারের অর্থ আত্মসাত এবং গাইবান্ধায় প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই স্থানে অভিযান চালায় সংস্থাটি।
একই সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি রোধে দেশের নয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পাবনা মানসিক হাসপাতালের সেবার প্রদানে হয়রানি, রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং হাসপাতালের খাবার ও ওষুধ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালায় করেছে দুদক। পাবনার সমন্বিত জেলা কার্যালয় হতে বুধবার এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানকালে দুদক টিম হাসপাতালে সেবার মান এবং খাবার সরবরাহে বেশ কিছু অনিয়ম পায়। এছাড়া হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী বেসরকারী সুরমা মেন্টাল হাসপাতালে সরকারি ওষুধ উদ্ধার করে দুদক। এসময় জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ওই হাসপাতালের এক মালিককে সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে।
একইদিন কুষ্টিয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
সরেজমিন অভিযানে দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
জানতে পারে, ওই কর্মকর্তার দাপ্তরিক গাড়িটি এপ্রিল মাস হতে বন্ধ থাকলেও গাড়িটি ব্যবহার এবং মেরামত বাবদ ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
উল্লেখিত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের বেআইনিভাবে আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে অভিযান পরিচালনাকারী এনফোর্সমেন্ট টিম।
অপরদিক গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক।
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ আসে, হেরিং বোন বন্ডের প্রকল্পের আওতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১৫০ মিটার রাস্তার কাজ করার জন্য ৫১ লক্ষ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হলেও রাস্তার কাজ যথাযথভাবে করা হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে দুদক রংপুর হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। পরিচালিত অভিযানে প্রাথমিকভাবে উক্ত রাস্তার কাজ নিন্ম মানের হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
দুদক টিম রাস্তা নির্মাণ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে। সকল তথ্যাবলি বিশ্লেষণপূর্বক এ অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।
এছাড়া দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৯ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পত্র প্রদান করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।