হাওর বার্তা ডেস্কঃ টঙ্গীতে নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা ঝর্ণা ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন হাউজ পরিদর্শন করেছেন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দত্তপাড়া এলাকায় ঝর্ণা ইসলামের বাড়িতে ফ্যাশন হাউজ পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় তিনি ঝর্ণা ফ্যাশনের মালিক ঝর্ণা ইসলামের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং ঝর্ণার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
এর আগে ২০১৫ সালে ঝর্ণা ইসলামের এই ফ্যাশন হাউজটি পরিদর্শন করেন রানী ম্যাক্সিমা, সহযোগিতা করেন ঝর্ণা ইসলামকে। তিনি ঝর্ণা ইসলামকে ছয়টি সেলাই মেশিন উপহার দেন। সেসময় তিনি আবার বাংলাদেশে আসলে ঝর্ণার ফ্যাশন হাউজ পরিদর্শন করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
রানীর আগমন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুরো টঙ্গী এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলেন। এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রাখেন দত্তপাড়া এলাকা। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সে লক্ষ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ টঙ্গীর প্রতিটি শাখা রাস্তায়ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব, ডিবি, ডিজিএফআই, এসএসএফসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কড়া নজরদারি জোরদার করেন।
পরিদর্শনকালে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ঝর্ণা ফেব্রিক্স ও ফ্যাশনের মালিক ঝর্ণা ইসলাম বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের রানী কারখানার পরিবেশ ও আমার সফলতা দেখে মুগ্ধ। তিনি আমাকে একটি ফ্লোর নিয়ে কাপড় তৈরি করতে যা যা লাগে সবকিছু দেয়ার আশ্বাস দেন এবং আমার সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়ে আমার কারখানার খোঁজখবর নেন।’
প্রসঙ্গত, ঝর্ণা ইসলাম একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। ১৯৯৮ সালে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় বুটিক হাউজ গড়ে তোলেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন ১৬ জন নারী। ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করান ঝর্ণা। ঝর্ণার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে এ নিয়ে দুবার প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করলেন রানী ম্যাক্সিমা।