ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে পাট ক্ষেত, হতাশায় কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • ২৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফরিদপুরে ছ্যাঙা ও তৃণভোজী পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাট ক্ষেত। অতিরিক্ত গরম, বৃষ্টির অভাব আর পোকার আক্রমণে কৃষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম হতাশা। দ্রুত সময়ে পোকা দমন করা না গেলে পাটের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

কৃষকরা জানান, গত ১০ বছরের মধ্যে পাটে এভাবে পোকার আক্রমণ ঘটেনি। এর সত্যতা স্বীকার করেছে ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও। ২০১৮ সালে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণ পাট পাওয়া গেলেও এবছর তা ৭ থেকে ৮ মণে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। এদিকে, পাটচাষে প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ার পাশাপাশি শ্রমিক সংকটে এবছর বেড়েছে উৎপাদন খরচ।

পাট উৎপাদনের দিক থেকে দেশে ফরিদপুরের স্থান এক নম্বরে। গুণগত মান ভালো হওয়ায় এ জেলার পাটের চাহিদা বেশি। উন্নতজাতের পাটের কারনে এ জেলাকে ‘পাটের রাজধানী’ও বলা হয়। কিন্তু পোকার আক্রমণে পাটের ডগা ঝরে পড়ায় চাষিদের মনে নেমে এসেছে গভীর হতাশা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, আমাদের প্রতিটা ব্লকে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীরা কাজ করছেন।

ফরিদপুর জেলায় এ বছর ৮২ হাজার ৯শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যেখানে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে পাট ক্ষেত, হতাশায় কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৬:০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফরিদপুরে ছ্যাঙা ও তৃণভোজী পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাট ক্ষেত। অতিরিক্ত গরম, বৃষ্টির অভাব আর পোকার আক্রমণে কৃষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম হতাশা। দ্রুত সময়ে পোকা দমন করা না গেলে পাটের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

কৃষকরা জানান, গত ১০ বছরের মধ্যে পাটে এভাবে পোকার আক্রমণ ঘটেনি। এর সত্যতা স্বীকার করেছে ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও। ২০১৮ সালে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণ পাট পাওয়া গেলেও এবছর তা ৭ থেকে ৮ মণে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। এদিকে, পাটচাষে প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ার পাশাপাশি শ্রমিক সংকটে এবছর বেড়েছে উৎপাদন খরচ।

পাট উৎপাদনের দিক থেকে দেশে ফরিদপুরের স্থান এক নম্বরে। গুণগত মান ভালো হওয়ায় এ জেলার পাটের চাহিদা বেশি। উন্নতজাতের পাটের কারনে এ জেলাকে ‘পাটের রাজধানী’ও বলা হয়। কিন্তু পোকার আক্রমণে পাটের ডগা ঝরে পড়ায় চাষিদের মনে নেমে এসেছে গভীর হতাশা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, আমাদের প্রতিটা ব্লকে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীরা কাজ করছেন।

ফরিদপুর জেলায় এ বছর ৮২ হাজার ৯শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যেখানে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।