ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার আগেভাগেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯
  • ২৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার আগেভাগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আগের তুলনায় বেশি। নিয়মিত ওষুধ না ছিটানো এবং ঢাকায় বাসাবাড়িতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবাণুবাহী এডিস মশা জন্মের হার বাড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ আগের চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, গেল কয়েক বছরের হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকেই কমবেশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা হাসপাতালে আসেন। তবে এবার রোগীর সংখ্যা বেশি। গেল বছরের মে মাসে ৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার মে মাসে এই সংখ্যা তিন গুণ (১৫৫ জন)। এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৮৩৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের এ সংখ্যা ছিল ৪২৮ জন। এ বছর আক্রান্তদের মধ্যে দুজন এপ্রিলে মারা গেছেন। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৭৩৪ জন এবং বর্তমানে ১০৩ জন ভর্তি আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোগী বাড়ার দুটি কারণ চিহ্নিত করছে। প্রথম কারণ, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নির্মাণযজ্ঞ। এখানে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে, আরো চলছে রাস্তাঘাট নির্মাণ। এ কারণে পুরো ঢাকায় রাস্তাঘাট ও মাটি কেটে রাখা আছে। এসব জায়গায় ও চারপাশে সহজে পানি জমছে। এ ছাড়া সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মশা বেড়ে গেছে। থেমে থেমে বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তন এডিস মশা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তেজগাঁও, তুরাগ, পল্লবী, মগবাজারে, উত্তরা, গুলশান, বনানী, কাফরুল, খিলগাঁও, রামপুরা, মিরপুর, পীরেরবাগ, মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, বনানী, গুলশান, বারিধারায় সবচেয়ে বেশি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, গেণ্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকা, দক্ষিণ মুগদাপাড়া, বাসাবো, মানিকনগর বিশ্বরোড, শেরেবাংলা রোড, হাজারীবাগ, মগবাজার ও রমনা, সেগুনবাগিচা, শাহবাগ, হাজারীবাগ, ফরাশগঞ্জ, শ্যামপুর, উত্তর যাত্রাবাড়ীতে ডেঙ্গুর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার আগেভাগেই

আপডেট টাইম : ১২:৫১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবার আগেভাগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আগের তুলনায় বেশি। নিয়মিত ওষুধ না ছিটানো এবং ঢাকায় বাসাবাড়িতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবাণুবাহী এডিস মশা জন্মের হার বাড়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ আগের চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, গেল কয়েক বছরের হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকেই কমবেশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা হাসপাতালে আসেন। তবে এবার রোগীর সংখ্যা বেশি। গেল বছরের মে মাসে ৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার মে মাসে এই সংখ্যা তিন গুণ (১৫৫ জন)। এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৮৩৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছর জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের এ সংখ্যা ছিল ৪২৮ জন। এ বছর আক্রান্তদের মধ্যে দুজন এপ্রিলে মারা গেছেন। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৭৩৪ জন এবং বর্তমানে ১০৩ জন ভর্তি আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোগী বাড়ার দুটি কারণ চিহ্নিত করছে। প্রথম কারণ, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নির্মাণযজ্ঞ। এখানে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে, আরো চলছে রাস্তাঘাট নির্মাণ। এ কারণে পুরো ঢাকায় রাস্তাঘাট ও মাটি কেটে রাখা আছে। এসব জায়গায় ও চারপাশে সহজে পানি জমছে। এ ছাড়া সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মশা বেড়ে গেছে। থেমে থেমে বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তন এডিস মশা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তেজগাঁও, তুরাগ, পল্লবী, মগবাজারে, উত্তরা, গুলশান, বনানী, কাফরুল, খিলগাঁও, রামপুরা, মিরপুর, পীরেরবাগ, মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, বনানী, গুলশান, বারিধারায় সবচেয়ে বেশি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, গেণ্ডারিয়াসহ আশপাশের এলাকা, দক্ষিণ মুগদাপাড়া, বাসাবো, মানিকনগর বিশ্বরোড, শেরেবাংলা রোড, হাজারীবাগ, মগবাজার ও রমনা, সেগুনবাগিচা, শাহবাগ, হাজারীবাগ, ফরাশগঞ্জ, শ্যামপুর, উত্তর যাত্রাবাড়ীতে ডেঙ্গুর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হয়েছে।