হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের উপর মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় থাকলেও প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না, ফলে কমছে না ভ্যাপসা (তাপপ্রবাহ) গরম। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও পরে তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে জনজীবনে বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস জানান, আগামী ২৬ জুন থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো কমে যাবে। এতে ভ্যাপসা গরমের মাত্রাও বেড়ে যাবে। এ সময় তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যেতে পারে। তবে চলতি মাসের শেষদিকে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। এতে হয়তো তাপমাত্রা কমবে।
শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী তিন দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, টাঙ্গাইল, খুলনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, পাবনা, বরিশাল, যশোর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মাদারীপুর, ঢাকা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি /বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।