হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাঁচা মাংস বা ডিম আপনি নিশ্চয়ই কখনো খাবেন না! কাঁচা খাওয়া যায় না এমন খাবারের তালিকাটা কিন্তু বেশ দীর্ঘ। এর মধ্যে কয়েকটি নিয়ে আজ আলোচনা করব, সেগুলো কেন কাঁচা খাওয়া যাবে না এবং খেলে ক্ষতিটাই বা কি?
আলু- টিউবার জাতীয় এই খাবারটি প্রত্যেকরই পছন্দের। মাছ, মাংস, ডিমের সাথে তো বটেই; শুধু আলুর যে কত রেসিপি আছে, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু কাঁচা আলু খাওয়া কোনোদিন বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কাঁচা আলু খেলে পেট ফেঁপে যাবে, অযাচিত অনেক গ্যাস্ট্রো-ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দেবে। কাঁচা আলু যদি কিছুদিন খুব গরম ও ভ্যাপসা পরিবেশে রাখা হয়, সেগুলো হালকা সবুজ রং ধারণ করে, আলুর ভেতর তখন সোলানিন নামক টক্সিন (বিষ) জমা হয়। তাই যদি কোনো আলুর গায়ে সবুজ দাগ দেখা যায়, সেগুলো কাঁচা কিংবা রান্না করে; কোনো উপায়েই খাওয়া যাবে না। কারণ এতে করে আপনি ফুড পয়জনিং এর শিকার হতে পারেন।
দুধ- সরাসরি গরুর দোয়ানো দুধ পান করা একেবারেই অনুচিত। কারণ পাস্তুরিত না করা হলে দুধে ই কলি ও সালমোনেলা নামক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। অন্যান্য দুগ্ধজাতীয় খাবারের তুলনায় কাঁচা দুধ ১৫০ গুণ বেশি খাদ্যজনিত অসুস্থতা তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু রাজ্যে তাই কাঁচা দুধ নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। তাই নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি যে দুধ কিনছেন তা পাস্তুরিত কি না অথবা সরাসরি দুধ সংগ্রহ করলে তাকে উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করে নিন।
ময়দা- কাঁচা ময়দা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য চরম বিপজ্জনক। এফডিএ এর গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ময়দা প্রস্তুতকারীদের থেকে খুচরা দোকান পর্যন্ত আসার পথে ই.কোলি সহ আরো অনেক পরজীবীর সংস্পর্শে আসতে পারে। একমাত্র ময়দা দিয়ে রুটি বা অন্য কিছু তৈরির সময় উত্তাপের ফলে এ ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়।
বেগুন- কাঁচা বেগুনে থাকে সোলানিন নামক টক্সিন, ঠিক যেমনটা কাঁচা আলুর গায়ে সবুজ দাগ থাকলে হয়ে থাকে। বিশেষ করে অপরিপক্ব বেগুনে এ টক্সিন অনেক বেশি থাকে। তবে এ সোলানিনের মাত্রা থাকে খুব কম। পুরোপুরি একটা কাঁচা বেগুন খেতে হতে হবে গ্যাস্ট্রোলিভার ইনফেকশনের জন্য। তাও ঝুঁকি নেয়া উচিৎ নয়, বেগুন কাঁচা না খেয়ে অবশ্যই রান্না করে খেতে হবে।