হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যারিবীয়দের দেওয়া ৩২২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিলো টাইগার বাহিনী। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের অনবদ্য জুটিতে ভালোই এগিয়েছে রান। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫২ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু ২৩ বলে দুটি চার ও সমান ছক্কায় ২৯ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে গেইলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সৌম্য। এর পর হাল ধরেন তামিম। কিন্তু দাপুটে ব্যাটিং করে যাওয়ার পরও রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল।
বিশ্বকাপে অফ ফর্মে থাকা তামিম সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ শুরু পান। বল টু বল রান করে ফিফটির পথেই ছিলেন দেশসেরা এ ওপেনার। কিন্তু শেলডন কটরিলের থ্রোতে ভেঙে যায় স্ট্যাম্প। ৫৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করে ফেরেন তামিম। এর আগে দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। তামিমের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিম। ১৯ ওভারে ১৩৩ রানে ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যে দলে তার উপর তো ভরসা করাই যায়। সেই ভরসার জায়গা ধরে রেখে, খেলেছেন সাকিব আল হাসান।
লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবেলা করেন উইন্ডিজ বোলারদের। তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরী। তার সঙ্গে থাকা লিটন দাসও তাকে সমর্থন দিয়ে অর্ধশতক পার করেন। দুইজনের অনবদ্য জুটিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে রেখেই ৪১ ওভার ৩ বলে ৩২২ রানে করে বাংলাদেশ। এর আগে ইংল্যান্ডের টনটনে সোমবার টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথমে গেইলকে শুণ্য রানে আউট করতে পারলেও রানের গতি থামাতে পারেননি বাংলাদেশী বোলাররা।
গেইলের আউটের পর লুইস তো রীতিমত তান্ডব শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ক্যারিবীয় এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার আগে ৬৭ বলে ৭০ রান করেন লুইস। প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে শাই হোপের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১১৬ রানের জুটি। এর পর একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ২৫ বলে ৫০ রান পূর্ণ করা হিতমার ও হোল্ডারকে আউট করে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে টাইগার শিবিরে। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আন্দ্রে রাসেল। কাটারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাসেল।
ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলেও বেশি দূর যেতে পারেননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৩ রান করে আউট হন হোল্ডার। ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন শাই হোপ। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন তিনি। শাই হোপ (৯৬) ও এভিন লুইসের (৭০) অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড় গড়ে ক্যারিবীয়রা।