ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার আমনের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৭৩ বার

খুলনা জেলার তিন উপজেলায় আমন ধানের ক্ষেতে আক্রমণ করেছে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকা। জেলায় ১ হাজার ২৭৪ হেক্টর জমিতে পোকা আক্রমণ করেছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে অতি বৃষ্টির পর আক্রমনের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই অতি বৃষ্টি দেখা দেয়। আষাঢ় থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত আমনের ৬০ শতাংশ বীজতলা পানিতে ডুবে যায়। ক্ষতি এড়াতে কৃষক শ্রাবন মাসের শেষ দিকে আমনের বীজতলা তৈরি করে। ফলে জেলার অধিকাংশ স্থানে দেরিতে আমন রোপণ হয়। সূত্র মতে, ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, অতিবৃষ্টির কারণেই পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। পোকা দমনের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ সভা, আক্রান্ত ধানের পাতা কেটে দেয়া ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এক হাজার ২১০ হেক্টর জমির পোকা দমন করা সম্ভব হয়েছে। ১৭৪টি ব্লকে পাঁচটি করে আলোর ফাঁদ দিয়ে পোকা দমনের প্রক্রিয়াও চলছে। সোমবার পোকায় আক্রান্ত বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার কয়েকটি ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেন তিনি।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ২শ’ হেক্টর জমির আমনের আবাদে পোকা আক্রমণ করে। কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে দমন করা সম্ভব হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে, ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।

Khulna_amon_fieldমেট্রো কৃষি কর্মকর্তা জানান, অতিবৃষ্টির পর মাজরা পোকা আক্রমণ করলে তা দমন করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-এর পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বটিয়াঘাটা উপজেলা ও বাগেরহাটের কয়েকটি ক্ষেত পরিদর্শন করবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ভূপেষ কুমার মন্ডল গেল সপ্তাহে জেলার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, রূপসা, ফুলতলা উপজেলা ও মেট্রো এলাকার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ধানে এখনও থোড় আসেনি। ফলে কাঙ্খিত উৎপাদন হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশাবাদী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনার আমনের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ

আপডেট টাইম : ১১:০৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

খুলনা জেলার তিন উপজেলায় আমন ধানের ক্ষেতে আক্রমণ করেছে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকা। জেলায় ১ হাজার ২৭৪ হেক্টর জমিতে পোকা আক্রমণ করেছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে অতি বৃষ্টির পর আক্রমনের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই অতি বৃষ্টি দেখা দেয়। আষাঢ় থেকে শ্রাবণ পর্যন্ত আমনের ৬০ শতাংশ বীজতলা পানিতে ডুবে যায়। ক্ষতি এড়াতে কৃষক শ্রাবন মাসের শেষ দিকে আমনের বীজতলা তৈরি করে। ফলে জেলার অধিকাংশ স্থানে দেরিতে আমন রোপণ হয়। সূত্র মতে, ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, অতিবৃষ্টির কারণেই পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। পোকা দমনের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ সভা, আক্রান্ত ধানের পাতা কেটে দেয়া ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এক হাজার ২১০ হেক্টর জমির পোকা দমন করা সম্ভব হয়েছে। ১৭৪টি ব্লকে পাঁচটি করে আলোর ফাঁদ দিয়ে পোকা দমনের প্রক্রিয়াও চলছে। সোমবার পোকায় আক্রান্ত বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার কয়েকটি ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেন তিনি।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ২শ’ হেক্টর জমির আমনের আবাদে পোকা আক্রমণ করে। কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে দমন করা সম্ভব হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে, ক্ষতির পরিমাণ কম হবে।

Khulna_amon_fieldমেট্রো কৃষি কর্মকর্তা জানান, অতিবৃষ্টির পর মাজরা পোকা আক্রমণ করলে তা দমন করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-এর পরিচালক আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বটিয়াঘাটা উপজেলা ও বাগেরহাটের কয়েকটি ক্ষেত পরিদর্শন করবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ভূপেষ কুমার মন্ডল গেল সপ্তাহে জেলার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, রূপসা, ফুলতলা উপজেলা ও মেট্রো এলাকার কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ধানে এখনও থোড় আসেনি। ফলে কাঙ্খিত উৎপাদন হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশাবাদী।