হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে খেলছেন মাশরাফিরা। প্রথম ৪ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট এক জয় ও এক পরিত্যক্তে ৩। খেলা বাকি এখনো ৫টি। সেরা চারে খেলতে বাকি ম্যাচগুলো জিততেই হবে টাইগারদের। কঠিন কাজ। তারপরও স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফিরা। দল যেমনই করুক না কেন, নিজেকে আলোয় উদ্ভাসিত করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। বিশ্বকাপ শুরু হাফসেঞ্চুরিতে। সর্বশেষ ইনিংসে করেছেন সেঞ্চুরি। ৩ ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের রান ২৬০। এখন পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। ব্যাটিংয়ে যেমন সাকিব চমকে দিয়েছেন সবাইকে। বোলিংয়ে পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার মোহাম্মদ আমির চমকে দিয়েছেন অন্যদের। ৩ ম্যাচে তার উইকেট ১০টি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে সাকিব খেলেন ৭৫ রানের নান্দনিক ইনিংস। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ এবং সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেন ১২১ রানের জাদুকরী ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে ভেসে না যেত, তাহলে তার রান আরও বেশি হতো। সাকিবের পেছনে দৌড়াচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৪ ম্যাচে তার রান এক সেঞ্চুরিতে ২৫৫।
তিনে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেসন রয়ের রান ২১৫। চারে অ্যারন ফিঞ্চ ১৯০ এবং পাঁচে জশ বাটলারের রান ১৮৫। আসরে এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি হয়েছে ৭টি এবং হাফসেঞ্চুরি ৩৬টি। বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ১৪১ রান করে রয়েছেন ১০ নম্বরে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের রান ৯৪। বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না। ইংলিশ কন্ডিশনের বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে সুযোগ পান আমির। সুযোগ পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেন। ৩ ম্যাচে তার উইকেট ১০টি। সেরা বোলিং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩০ রানে ৫ উইকেট।
দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সের উইকেট ৯। তিনে অসি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ৯, চারে নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার লুকি ফারগুসনের উইকেট ৮টি। আরেক কিউই ফাস্ট বোলার ম্যাট হেনরির উইকেট ৭টি। গতকাল ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৬ উইকেট নিয়ে রয়েছেন ১০ নম্বরে। মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট ৫, সাকিবের উইকেট ৩।