ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিরকে চড় মেরেছিলেন আফ্রিদি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
  • ২৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বুধবার টনটনে তার পাঁচ উইকেট পাওয়ার দিনেই আবার উঠে এলো সেই অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ। যা ফাঁস করলেন সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক। পাকিস্তানের কলঙ্কিত ২০১০ ইংল্যান্ড সিরিজের অনেক আগেই মোহাম্মদ আমির স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর কথা স্বীকার করেছিলেন। দাবি সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আব্দুল রজ্জাকের।

পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলে তিনি বলেছেন, তৎকালীন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি চড় মারার পরে আমির স্পট ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন। ‘‘আফ্রিদি আমায় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই আমি চড় মারার শব্দ পাই। এর পরেই আমির সত্যি কথা বলে দেয়,’’ বলেছেন রাজ্জাক। পাকিস্তান বোর্ডের সেই সময়ের প্রশাসকদেরও সমালোচনা করেন রাজ্জাক।

‘‘আমার মনে হয় সেই সময় আইসিসির কাছে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে না গিয়ে পিসিবির উচিত ছিল অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটারের দিকে নজর দেয়া। তাদের অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও দেশে ফেরত আনা। ওদের এক বছরের জন্য নির্বাসিত করাও উচিত ছিল। এ সব না করে শেষ পর্যন্ত পিসিবি বিশ্বের সামনে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’’

৩৯ বছর বয়সী রাজ্জাকের আর দাবি ইংল্যান্ডে কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার অনেক আগেই সালমান বাট ইচ্ছা করে ডট বল খেলছিলেন ম্যাচে। ‘‘আমি সব জানিয়েছিলাম আফ্রিদিকে। কিন্তু ও বলেছিল এ সব আমার মনের ভুল। সব কিছু ঠিকই আছে। কিন্তু আমি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (২০১০) একটা ম্যাচে সালামনের সঙ্গে ব্যাট করতে নামি, আমি নিশ্চিত ছিলাম দলকে ও ডুবিয়ে ছাড়বে।’’

রাজ্জাক সালমানকে বলেন, সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক তাকে দিতে। কিন্তু তার পরামর্শ মতো খেলেননি সালমান। ‘‘ও যখন এই কৌশলে খেলতে অস্বীকার করল, আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যখন বুঝতে পারলাম ও কিছু একটা করতে যাচ্ছে তখন কড়া করে বললাম স্ট্রাইক আমায় দিতে। তার পরও প্রত্যেক ওভারে ও ইচ্ছে করে দুই-তিন বল খেলে আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল।

আমি এ সব দেখে হতাশ হয়ে পড়ি, চাপের মুখে আউটও হয়ে যাই,’’ বলেন রাজ্জাক। সালমান বাট, আমির এবং মোহাম্মদ আসিফকে স্পট ফিক্সিং মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হয় ২০১০ সেপ্টেম্বরে। পরে ২০১১-র গোড়ার দিকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসনের শাস্তি। তিন ক্রিকেটারই শাস্তি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন। তবে এর মধ্যে শুধু আমিরকেই পাকিস্তান দলে ডাকা হয় বিশ্বকাপের জন্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আমিরকে চড় মেরেছিলেন আফ্রিদি

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বুধবার টনটনে তার পাঁচ উইকেট পাওয়ার দিনেই আবার উঠে এলো সেই অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ। যা ফাঁস করলেন সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক। পাকিস্তানের কলঙ্কিত ২০১০ ইংল্যান্ড সিরিজের অনেক আগেই মোহাম্মদ আমির স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর কথা স্বীকার করেছিলেন। দাবি সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আব্দুল রজ্জাকের।

পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলে তিনি বলেছেন, তৎকালীন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি চড় মারার পরে আমির স্পট ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন। ‘‘আফ্রিদি আমায় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই আমি চড় মারার শব্দ পাই। এর পরেই আমির সত্যি কথা বলে দেয়,’’ বলেছেন রাজ্জাক। পাকিস্তান বোর্ডের সেই সময়ের প্রশাসকদেরও সমালোচনা করেন রাজ্জাক।

‘‘আমার মনে হয় সেই সময় আইসিসির কাছে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে না গিয়ে পিসিবির উচিত ছিল অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটারের দিকে নজর দেয়া। তাদের অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও দেশে ফেরত আনা। ওদের এক বছরের জন্য নির্বাসিত করাও উচিত ছিল। এ সব না করে শেষ পর্যন্ত পিসিবি বিশ্বের সামনে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’’

৩৯ বছর বয়সী রাজ্জাকের আর দাবি ইংল্যান্ডে কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার অনেক আগেই সালমান বাট ইচ্ছা করে ডট বল খেলছিলেন ম্যাচে। ‘‘আমি সব জানিয়েছিলাম আফ্রিদিকে। কিন্তু ও বলেছিল এ সব আমার মনের ভুল। সব কিছু ঠিকই আছে। কিন্তু আমি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (২০১০) একটা ম্যাচে সালামনের সঙ্গে ব্যাট করতে নামি, আমি নিশ্চিত ছিলাম দলকে ও ডুবিয়ে ছাড়বে।’’

রাজ্জাক সালমানকে বলেন, সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক তাকে দিতে। কিন্তু তার পরামর্শ মতো খেলেননি সালমান। ‘‘ও যখন এই কৌশলে খেলতে অস্বীকার করল, আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যখন বুঝতে পারলাম ও কিছু একটা করতে যাচ্ছে তখন কড়া করে বললাম স্ট্রাইক আমায় দিতে। তার পরও প্রত্যেক ওভারে ও ইচ্ছে করে দুই-তিন বল খেলে আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছিল।

আমি এ সব দেখে হতাশ হয়ে পড়ি, চাপের মুখে আউটও হয়ে যাই,’’ বলেন রাজ্জাক। সালমান বাট, আমির এবং মোহাম্মদ আসিফকে স্পট ফিক্সিং মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হয় ২০১০ সেপ্টেম্বরে। পরে ২০১১-র গোড়ার দিকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসনের শাস্তি। তিন ক্রিকেটারই শাস্তি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন। তবে এর মধ্যে শুধু আমিরকেই পাকিস্তান দলে ডাকা হয় বিশ্বকাপের জন্য।