ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন শহিদুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯
  • ২৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজদিখানে কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন শহিদুলের। ৬ গন্ডা জমিতে কচু চাষ করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করেছেন।

উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নে কচু ক্ষেত পরিচর্যার সময় শহিদুল হাওলাদার বলেন, আলু চাষ না করে আলুর মৌসুমেই অগ্রাহায়ন থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত আমার ৬ গন্ডা জমিতে কফি, পারংশাক, ধনিয়াপাতা চাষের পাশাপাশি কচু রোপন করেছি। তবে তিন মাসে কফি, পারংশাক, ধনিয়াপাতা বিক্রি করে ফেলি। সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

তিন ফসল বিক্রি করেছি প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তবে খরচ বাদদিয়ে ২০ হাজার টাকা এখানেই লাভ হয়েছে। আর কচু এখনো বিক্রি শুরু হয় নাই, কিছু দিন পর বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠবে। তবে আমার ৬ গন্ডা জমিতে প্রায় ৫ হাজার কচুর গাছ রয়েছে। প্রতি পিছ সর্ব নিম্ন ২০ টাকা করে বিক্রি করলেও ১ লক্ষ টাকা আসবে। এর পাশাপাশি জমিতে প্রায় ৯ থেকে ১০ মন লতি পাওয়া যাবে। এবছর খরার কারনে কিছুটা খরচ বেশি হয়েছে।

তবে সব মিলিয়ে কচু চাষে কোন খরচ নেই বল্লেই চলে। কচুতে তেমন কোন খরচ কম হওয়ায় শহিদুলের পাশাপাশি এখন একই গ্রামের ফারুক হাওলাদার সহ অনেকেই কচু চাষে এগিয়ে আসেছে।

উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আলুর পতিত জমিতে শহিদুল হাওলাদার কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। তাঁর দেখাদেখি অন্যান্য চাষিরাও কচু চাষে এগিয়ে এসেছেন। এতে অনেক চাষি লাভবান হবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সিরাজদিখানে কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন শহিদুল

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজদিখানে কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন শহিদুলের। ৬ গন্ডা জমিতে কচু চাষ করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করেছেন।

উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নে কচু ক্ষেত পরিচর্যার সময় শহিদুল হাওলাদার বলেন, আলু চাষ না করে আলুর মৌসুমেই অগ্রাহায়ন থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত আমার ৬ গন্ডা জমিতে কফি, পারংশাক, ধনিয়াপাতা চাষের পাশাপাশি কচু রোপন করেছি। তবে তিন মাসে কফি, পারংশাক, ধনিয়াপাতা বিক্রি করে ফেলি। সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা।

তিন ফসল বিক্রি করেছি প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তবে খরচ বাদদিয়ে ২০ হাজার টাকা এখানেই লাভ হয়েছে। আর কচু এখনো বিক্রি শুরু হয় নাই, কিছু দিন পর বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠবে। তবে আমার ৬ গন্ডা জমিতে প্রায় ৫ হাজার কচুর গাছ রয়েছে। প্রতি পিছ সর্ব নিম্ন ২০ টাকা করে বিক্রি করলেও ১ লক্ষ টাকা আসবে। এর পাশাপাশি জমিতে প্রায় ৯ থেকে ১০ মন লতি পাওয়া যাবে। এবছর খরার কারনে কিছুটা খরচ বেশি হয়েছে।

তবে সব মিলিয়ে কচু চাষে কোন খরচ নেই বল্লেই চলে। কচুতে তেমন কোন খরচ কম হওয়ায় শহিদুলের পাশাপাশি এখন একই গ্রামের ফারুক হাওলাদার সহ অনেকেই কচু চাষে এগিয়ে আসেছে।

উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আলুর পতিত জমিতে শহিদুল হাওলাদার কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। তাঁর দেখাদেখি অন্যান্য চাষিরাও কচু চাষে এগিয়ে এসেছেন। এতে অনেক চাষি লাভবান হবেন।