হাওর বার্তা ডেস্কঃ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচগুলোতে ‘ক্লোজ কল’ সবসময় গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। যেমনটি হয়েছে গতকাল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলের ঘটনা। সদ্যই উইকেটে আসা রস টেলরের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপদে পড়ে যান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
মিড অফ থেকে তামিম ইকবালের থ্রো ধরে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীম যখন উইকেট ভেঙে দেন, তখনো পপিং ক্রিজের অনেক বাইরে উইলিয়ামসন। খালি চোখে উইলিয়ানসন আউট। কিন্তু টাইগার উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীম করে বসেন বাচ্চাসুলভ ভুল। তামিমের করা থ্রোটি সরাসরি ছিলো উইকেট বরাবরই। কিন্তু বাড়তি সতর্কতা নিতে গিয়ে স্ট্যাম্পের সামনে এসে বল ধরে উইকেট ভাঙতে যান মুশফিক। ঠিক তখন তার কনুইতে লেগে আগেই পড়ে যায় বেলস। ফলে থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন নট-আউট।
নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে হারিয়েছে মাত্র ২ উইকেটের ব্যবধানে। তাই বারবার ঘুরে-ফিরে একটি কথাই উঠছে- মুশফিক যদি ওই ভুলটি না করতেন। ম্যাচ শেষে অবধারিতভাবে তাই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে প্রশ্ন গেল এ ব্যাপারে। মাশরাফি অবশ্য তার সতীর্থের পাশেই থাকছেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মুশির (মুশফিকুর রহীম) পেছনে লাগার কোনো কারণ নেই। থ্রোটি সোজা ছিল। তবে একজন কিপারের জন্য বোঝা কষ্টকর যে বলটি সোজা আসছে নাকি না! সে বলটি ধরতে চেয়েছিল, এসময় স্ট্যাম্প ভেঙে যায়।’
অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এরকম ভুল সচারাচরই হয়ে থাকে। সুতরাং, আমার মনে হয় না তার পেছনে পড়ার কোনো কারণ আছে। এটা খেলারই একটি অংশ। এরকম হবেই। কেউ তো আর ইচ্ছে করে ভুল করতে চায় না।’
আবার ম্যাচের আগে কথার লড়াইয়েও মেতেছে দুই দল। কাগিসো রাবাদা তো সরাসরি ‘অপরিপক্ক’ হিসেবে তমকা দিয়েছেন অধিনায় কোহলিকে, ‘আমি আসলে গেম প্ল্যান দিয়ে ভাবছিলাম। আইপিএলে কোহলি আমাকে চার মেরেছিলো সে, এরপর কিছু কথাও হয়েছিলো। যখন এর জবাব দিয়েছি, সে খুব রাগত ভঙ্গি করেছিলো। আমি আসলে ওকে বুঝি না। সে ফেনোমেনাল প্লেয়ার কিন্তু খোঁচা সহ্য করতে পারে না।’
কথার লড়াইয়ের বাইরে আবার ইতিবাচক রসদ নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রোটিয়ারা। হাশিম আমলা ফিরে আসায় তেমন ভাবনা কাজ করছে প্রোটিয়া শিবিরে। বিশেষ করে পেসার আন্দিলে ফেহলুকোয়ায়ো মনে করছেন ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে তাদের দল, ‘আমরা সব সময়ই ঘুরে দাঁড়াতে পারি। দলীয় ভাবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবো।