ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশীয় উপকূলে ৫০০ রোহিঙ্গা উদ্ধার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০১৫
  • ৬২১ বার

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে দু’টি নৌকা থেকে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। আচেহ প্রদেশের মানতাং পুনতংয়ে তাদের রবিবার সকালে আনা হয়। খবর আলজাজিরার।

জাকার্তার অভিবাসী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার উপ-প্রধান স্টিভ হ্যামিল্টন জানান, দু’টি নৌকা থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে। একটি নৌকায় প্রায় ৪৩০ জন, অন্যটিতে ৭০ জন ছিল। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ত্রাণকর্মীরা সেখানে পৌঁছেছেন। উদ্ধার হওয়াদের অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাদের দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

পাচারকারীদের কৌশল পরিবর্তন

ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের পাচার করা হচ্ছিল বলে উল্লেখ করেছেন মিয়ানমারের আরাকান প্রজেক্টের প্রধান ক্রিস লেওয়া।

তিনি জানান, মানবপাচারকারীদের থামার প্রধান স্থান ছিল থাইল্যান্ড। সেখানকার গহীন অঞ্চলে বিদেশগামীদের আটকে রেখে নির্যাতন করে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হতো। কিন্তু সম্প্রতি থাইল্যান্ড সরকারের তৎপরতার কারণে তারা ওখানে যাচ্ছে না।

বর্তমানে পাচারকারীরা বিদেশগামীদের নৌকার ভেতরেই আটকে রাখছে। সেখানে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

লেওয়া আরও জানান, বর্তমানে মালাক্কা প্রণালীতে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীকে আটকে রেখেছে মানবপাচারকারীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইন্দোনেশীয় উপকূলে ৫০০ রোহিঙ্গা উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০১৫

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম উপকূলে দু’টি নৌকা থেকে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। আচেহ প্রদেশের মানতাং পুনতংয়ে তাদের রবিবার সকালে আনা হয়। খবর আলজাজিরার।

জাকার্তার অভিবাসী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার উপ-প্রধান স্টিভ হ্যামিল্টন জানান, দু’টি নৌকা থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে। একটি নৌকায় প্রায় ৪৩০ জন, অন্যটিতে ৭০ জন ছিল। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ত্রাণকর্মীরা সেখানে পৌঁছেছেন। উদ্ধার হওয়াদের অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাদের দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

পাচারকারীদের কৌশল পরিবর্তন

ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের পাচার করা হচ্ছিল বলে উল্লেখ করেছেন মিয়ানমারের আরাকান প্রজেক্টের প্রধান ক্রিস লেওয়া।

তিনি জানান, মানবপাচারকারীদের থামার প্রধান স্থান ছিল থাইল্যান্ড। সেখানকার গহীন অঞ্চলে বিদেশগামীদের আটকে রেখে নির্যাতন করে স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হতো। কিন্তু সম্প্রতি থাইল্যান্ড সরকারের তৎপরতার কারণে তারা ওখানে যাচ্ছে না।

বর্তমানে পাচারকারীরা বিদেশগামীদের নৌকার ভেতরেই আটকে রাখছে। সেখানে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

লেওয়া আরও জানান, বর্তমানে মালাক্কা প্রণালীতে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীকে আটকে রেখেছে মানবপাচারকারীরা।