ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
  • ২৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লন্ডনের ওভালে রবিবার স্থানীয় সময় সাড়ে দশটা আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় ম্যাচ।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে। কাগজে কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ থেকে বেশ এগিয়ে আছে।

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ২০ বার যার মধ্যে ১৭টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩টি জয় বাংলাদেশের।

এই তিনটি জয়ের একটি এসেছে ২০০৭ বিশ্বকাপে বাকি দুইটি ২০১৫ সালের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে।

আমার মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বেশ কিছু বড় দুর্বলতা আছে। বাংলাদেশ দল যদি এসব দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে, জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে তাদের।

অগভীর ব্যাটিং লাইন

দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?ছবির কপিরাইট দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

দক্ষিণ আফ্রিকার একটা বড় দুর্বলতা হচ্ছে, তাদের ব্যাটিং গভীরতা কম।

কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসি! এই তিনজনকে ঘিরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ।

অর্থাৎ টপ অর্ডার কোনো কারণে খুব ভালো করতে না পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার রানের সংগ্রহ খুব ভালো অবস্থানে নিতে সক্ষম নয়।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে দেখা গেছে, ১২৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর আর মাত্র ৭৮ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বোলিং-এ অভিজ্ঞতার অভাব

আমার মতে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় দুর্বলতা।

গত কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার কাগিসো রাবাদা।

কিন্তু বিশ্বকাপে রাবাদা, এনগিদির অভিজ্ঞতা তেমন নেই।

ডেল স্টেইনের ইনজুরির কারণে আরো পিছিয়ে পড়েছে এই বোলিং আক্রমণ।

ফেলুকাইও ও ক্রিস মরিস সাহায্যের হাত বাড়ালেও সেটা যথেষ্ট হচ্ছে নয়।

তবে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন ইমরান তাহির, যিনি তার শততম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন।

ডু প্লেসি প্রথম ম্যাচে তাহিরকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন এবং ফলাফল পান।

দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আন্ডারডগ’ খেতাব

শারীরিক কসরতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা
শারীরিক কসরতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা

প্রতি বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকা পা রাখে ফেভারিট তকমা নিয়ে, কিন্তু এবারে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা আন্ডারডগ।

মূলত এবি ডি ভিলিয়ার্স, রাইলি রুশো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পরে শক্তিমত্তার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মানসিকভাবেও খানিকটা দুর্বল অবস্থায় আছে দলটি, ডেল স্টেইনের ইনজুরির সাথে যোগ হয়েছে প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ততা।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ফর্ম

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের প্রায় সবাই এখন ফর্মে আছেন।

আরও পড়ুন:

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: বাংলাদেশ দলকে যেভাবে প্রস্তুত করছেন কোচ স্টিভ রোডস।

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সবার ব্যাটেই রান আসছে নিয়মিত।

ওভালের উইকেটও ব্যাটসম্যানদের জন্য দারুণ।

প্রায় প্রতি ম্যাচেই এই মাঠে ৩০০+ স্কোর আশা করা হচ্ছে।

ইনজুরির দুশ্চিন্তা কাটিয়ে মানসিক দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারলে এটাই বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু করার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ আফ্রিকার যেসব দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৩:১১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লন্ডনের ওভালে রবিবার স্থানীয় সময় সাড়ে দশটা আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় ম্যাচ।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে। কাগজে কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ থেকে বেশ এগিয়ে আছে।

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ২০ বার যার মধ্যে ১৭টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩টি জয় বাংলাদেশের।

এই তিনটি জয়ের একটি এসেছে ২০০৭ বিশ্বকাপে বাকি দুইটি ২০১৫ সালের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে।

আমার মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বেশ কিছু বড় দুর্বলতা আছে। বাংলাদেশ দল যদি এসব দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে, জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে তাদের।

অগভীর ব্যাটিং লাইন

দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?ছবির কপিরাইট দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

দক্ষিণ আফ্রিকার একটা বড় দুর্বলতা হচ্ছে, তাদের ব্যাটিং গভীরতা কম।

কুইন্টন ডি কক, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসি! এই তিনজনকে ঘিরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ।

অর্থাৎ টপ অর্ডার কোনো কারণে খুব ভালো করতে না পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার রানের সংগ্রহ খুব ভালো অবস্থানে নিতে সক্ষম নয়।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে দেখা গেছে, ১২৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর আর মাত্র ৭৮ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বোলিং-এ অভিজ্ঞতার অভাব

আমার মতে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় দুর্বলতা।

গত কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার কাগিসো রাবাদা।

কিন্তু বিশ্বকাপে রাবাদা, এনগিদির অভিজ্ঞতা তেমন নেই।

ডেল স্টেইনের ইনজুরির কারণে আরো পিছিয়ে পড়েছে এই বোলিং আক্রমণ।

ফেলুকাইও ও ক্রিস মরিস সাহায্যের হাত বাড়ালেও সেটা যথেষ্ট হচ্ছে নয়।

তবে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন ইমরান তাহির, যিনি তার শততম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন।

ডু প্লেসি প্রথম ম্যাচে তাহিরকে দিয়ে বোলিং শুরু করেন এবং ফলাফল পান।

দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আন্ডারডগ’ খেতাব

শারীরিক কসরতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা
শারীরিক কসরতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা

প্রতি বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকা পা রাখে ফেভারিট তকমা নিয়ে, কিন্তু এবারে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা আন্ডারডগ।

মূলত এবি ডি ভিলিয়ার্স, রাইলি রুশো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পরে শক্তিমত্তার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মানসিকভাবেও খানিকটা দুর্বল অবস্থায় আছে দলটি, ডেল স্টেইনের ইনজুরির সাথে যোগ হয়েছে প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ততা।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ফর্ম

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের প্রায় সবাই এখন ফর্মে আছেন।

আরও পড়ুন:

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: বাংলাদেশ দলকে যেভাবে প্রস্তুত করছেন কোচ স্টিভ রোডস।

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সবার ব্যাটেই রান আসছে নিয়মিত।

ওভালের উইকেটও ব্যাটসম্যানদের জন্য দারুণ।

প্রায় প্রতি ম্যাচেই এই মাঠে ৩০০+ স্কোর আশা করা হচ্ছে।

ইনজুরির দুশ্চিন্তা কাটিয়ে মানসিক দৃঢ়তা ধরে রাখতে পারলে এটাই বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ বিশ্বকাপে জয় দিয়ে শুরু করার।