হাওর বার্তা ডেস্কঃ রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিদের অনেকেই শরীরের পানি স্বল্পতায় ভোগেন। তাই এর থেকে পরিত্রাণের জন্য ইফতারে বেশি পরিমাণ পানি পান করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে লেবুর শরবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বাজারের বোতলজাত লেবুর শরবতের চেয়ে ঘরেই তৈরি করে নেওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
এ ছাড়া কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াই শরবত আপনাকে করবে প্রাণবন্ত। মাসজুড়ে রোজা থেকেও সতেজ থাকতে পান করতে পারেন টক-মিষ্টি স্বাদের এক গ্লাস লেবুর শরবত।
যা যা লাগবে- কাগজি লেবু মাঝারি আকারের ১টি, চিনি পরিমাণ মতো, বিট লবণ সামান্য, পানি দেড় কাপ ও বরফ কুচি চার টুকরো।
যেভাবে করবেন- লেবুর রস, চিনি ও বিট লবণ পানির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার শরবতটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে পারেন। সময় কম থাকলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন লেবুর শরবত।
লেবুর শরবতে সারবে যেসব রোগ-
১. লেবুর শরবত লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে। ফলে লিভারের যেকোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এ ছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
২. সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, টিবি রোগের চিকিৎসায় ওষুধের সঙ্গে লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে ওষুধের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৩. প্রতিদিন লেবু খেলে দেহের ভেতরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. লেবুর পানি ব্যবহারে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি ব্ল্যাক হেডস এবং বলিরেখা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. নিয়মিত লেবু পানি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্তি মেদ ঝরে যায়। লেবুর ভেতরে পেকটিন নামক একটি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। ওজনও কমে।