ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেক্সিকোতে ভেসে উঠেছে ১৬ শতকের গির্জা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩২৫ বার

মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধের পানি কমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে ষোড়শ শতকের একটি পুরনো গির্জা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। অ্যাপোস্টেল সানতিয়াগো নামে গির্জাটি তৈরি করেছিল ডমেনিকান ফ্রাইআরস। যা ১৯৬৬ সালে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে গ্রিজালভা নদীতে হাইড্রোলিক বাঁধ নির্মাণের কারণে পানির নিচে তলিয়ে যায়। কমপক্ষে ১৫ মিটার উচ্চতার প্রাচীন গির্জাটির ছাদ এখন আর অবশিষ্ট নেই। গ্রিজালভা নদীতে ৪৯ বছর আগে নির্মাণ করা একটি বাঁধের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকায় খরা দেখা দিয়েছে। এই খরার কারণে ভেসে উঠেছে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত ওই গির্জার ধ্বংসাবশেষ।
বাঁধের কারণে সেখানকার স্থানীয় ২ হাজার মানুষ অন্যত্র চলে যান। প্রায় অর্ধশতাব্দী পর আবারও ১৫ মিটার উঁচু গির্জার দেখা মিলল। তবে এখন আর কোনো ছাদ নেই। দেয়ালে শ্যাওলা জমেছে।
এই গির্জাকে ঘিরেই উৎসব করছেন এলাকাবাসী। আলভারেজ নামক এক স্থানীয় কয়েকজন নৌকায় করে গির্জা দেখতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সেইন্ট অ্যাপেসিট স্যান্তিয়াগোর মূর্তি। বাঁধ তৈরির আগে তারা এ মূর্তি সংরক্ষণ করে রেখেছিল। তবে এর আগেও ২০০২ সালে একবার পানিস্বল্পতার কারণে পুরো ৬০ মিটার গির্জা দেখা সম্ভব হয়েছিল। আবার ডুবে যায় গির্জাটি। এবারও বোধহয় বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। কারণ রোববার থেকেই শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। এনডিটিভি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মেক্সিকোতে ভেসে উঠেছে ১৬ শতকের গির্জা

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধের পানি কমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে ষোড়শ শতকের একটি পুরনো গির্জা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। অ্যাপোস্টেল সানতিয়াগো নামে গির্জাটি তৈরি করেছিল ডমেনিকান ফ্রাইআরস। যা ১৯৬৬ সালে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে গ্রিজালভা নদীতে হাইড্রোলিক বাঁধ নির্মাণের কারণে পানির নিচে তলিয়ে যায়। কমপক্ষে ১৫ মিটার উচ্চতার প্রাচীন গির্জাটির ছাদ এখন আর অবশিষ্ট নেই। গ্রিজালভা নদীতে ৪৯ বছর আগে নির্মাণ করা একটি বাঁধের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকায় খরা দেখা দিয়েছে। এই খরার কারণে ভেসে উঠেছে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত ওই গির্জার ধ্বংসাবশেষ।
বাঁধের কারণে সেখানকার স্থানীয় ২ হাজার মানুষ অন্যত্র চলে যান। প্রায় অর্ধশতাব্দী পর আবারও ১৫ মিটার উঁচু গির্জার দেখা মিলল। তবে এখন আর কোনো ছাদ নেই। দেয়ালে শ্যাওলা জমেছে।
এই গির্জাকে ঘিরেই উৎসব করছেন এলাকাবাসী। আলভারেজ নামক এক স্থানীয় কয়েকজন নৌকায় করে গির্জা দেখতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সেইন্ট অ্যাপেসিট স্যান্তিয়াগোর মূর্তি। বাঁধ তৈরির আগে তারা এ মূর্তি সংরক্ষণ করে রেখেছিল। তবে এর আগেও ২০০২ সালে একবার পানিস্বল্পতার কারণে পুরো ৬০ মিটার গির্জা দেখা সম্ভব হয়েছিল। আবার ডুবে যায় গির্জাটি। এবারও বোধহয় বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। কারণ রোববার থেকেই শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। এনডিটিভি।