সংকট না কাটলে ২০ হাজার যাত্রী ওমরাহ পালন করতে পারবেন না: হাব

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মধ্যস্বত্বভোগীরাই হজযাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়ার প্রধান কারণ অভিযোগ করে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে টাকা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হজযাত্রীদের বিরম্বনায় পড়ার প্রধান কারণ মধ্যস্বত্বভোগী। হজযাত্রীরা দয়া করে মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের কাছে টাকা দেবেন না। শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন। হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর কেউ কোনো বিড়ম্বনায় পড়লে, সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওমরাহ যাত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের ফ্লাইটে তীব্র আসন সংকট ও দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন হাব সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে যান। এখন সারাবছরই ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলোতে ওমরাহ যাত্রীর আসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইটের ভাড়া অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে। এরপরও  ফ্লাইট পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ বছর কমপক্ষে ২০ হাজার ওমরাহ যাত্রী ভিসা সংগ্রহ ও হোটেল বুকিং করার পরও রমজানে ওমরাহ পলন করতে পারবেন না।

সংকট সমাধানে হাবের পক্ষ থেকে দু’টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর একটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যেসব রুটে যাত্রী সংখ্যা কম ও অলাভজনক অবস্থা, সেসব রুটের ফ্লাইট কমিয়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এছাড়া বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার সহজ সুযোগ দেওয়ার জন্য ওপেন স্কাই করা এবং তাদের উৎসাহী করার জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং, পাকিংসহ অন্যান্য চার্জ কমানো বা মওকুফ করা যেতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর