সাড়ে ১২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলার ২২ থেকে ২৫ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ফণীর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিকাল চারটা পর্যন্ত  ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।’ শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর গতিবিধি বিষয়ক ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব তথ্য জানান।

এনামুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ পনেরো লাখ পর্যন্ত আসতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর বাইরেও স্কুল-কলেজের ভবনগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো দুঃসংবাদ নেই। সব কিছু জেলাপ্রশাসকরা ম্যানেজ করছেন। জেলা প্রশাসকদের সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে ৪০ কোটি টাকার রিজার্ভ আছে।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘এই দুর্য়োগে জানের সঙ্গে আমরা মালেরও নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসুন। ফেলে আসা বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের  নিরাপত্তা দিতে সরকার সচেষ্ট।’ এসময়‘ফণী’র গতিবিধির খবর জানতে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  যেন কোনো ধরনের প্রাণহানি না ঘটে।’

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) ড. মো. শামসুল আরেফিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. শাহ কামাল, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর