ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণ খেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার: অর্থমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ৩০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋণ খেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই ঋণ খেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন কার্যকর ছিল না। যে কারণে ব্যাংকে ঢুকলে সেখান থেকে বের হওয়ার পথ ছিল না। তাই আমরা আইনগুলো কার্যকর করে সেই আইনি প্রক্রিয়ায় সহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করে সবাইকে এখান থেকে মাফ করার ব্যবস্থা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা স্বতঃসিদ্ধ, আমরা সবাই জানি যদি ব্যাংকিং খাত স্বাভাবিকভাবে চলতে না পারে এবং যদি ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে যায়। আর যদি নন পারফর্মিং লোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা থেকে বিচ্যুত হব। আমরা সকল কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ব্যাংক খাতগুলোর ‘রেট অব ইন্টারেস্ট’ সুদের হার কমাব। সুদের হার কমানো না গেলে নন পারফর্মিং লোন কমবে না।’

নন পারফর্মিং লোন বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখা করে মন্ত্রী বলেন, ‘নন পারফর্মিং লোন তখনই বেড়ে যায়, যখন লোন নিয়ে তারা পরিশোধ করতে পারেন না। নন পারফর্মিং লোন হওয়ার কারণে সুদের হার অনেক বেশি। যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা ঋণ পরিশোধ করতে পারে না, তখন সেখানে সঙ্গত কারণেই খেলাপি হয়ে যায়। আর ঋণ খেলাপি রেখে ব্যাংক শিটগুলোর এতোটাই দূর অবস্থার মধ্যে আছে, সেগুলোকে যদি পরিষ্কার না করি তাহলে এগুলো আরও খারাপ হয়ে যাবে। এ জন্য সুদের হার মোটামুটি সহনশীল অবস্থায় নিয়ে আসছি। সেটা নিয়ে আসতে পারলেই আমরা সফল হব। আমাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। শিল্পকারখানাগুলো বেঁচে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সকলের স্বার্থে এই কাজটি করতে যাচ্ছি। এরমধ্যে অনেক বির্তক হচ্ছে, অনেকে অনেক রকম কথা বলছে। আমরা মাফ করে দিচ্ছি। সারা বিশ্বেই মাফ করে দেয়। আমাদের দেশে কিন্তু মাফ করার ব্যবস্থা ছিল না। কারণ, আমাদের দেশে দেউলিয়া আইন এবং ব্যাংক আর্বিটেশন যেগুলো আছে সেগুলো কার্যকর ছিল না। সেইজন্য একবার ব্যাংকে ঢুকলে সেখান থেকে আর বের হবার পথ ছিল না। আমরা আইনগুলো কার্যকর করে সেই আইনের প্রক্রিয়া সবাইকে আমরা একটা ইকুইটেবল পরিস্থতি তৈরি করে সাবাইকে আমরা এখন থেকে মাফ করার ব্যবস্থা করব। বের করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব। সকল ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতি চালানো যাবে না। তবে আবার সবাইকে মাফও করা যাবে না। যারা ইচ্ছেকৃতভাবে খেলাপি হয় যায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অ্যাকশন অবশ্যই নিতে হবে, আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ঋণ খেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার: অর্থমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঋণ খেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ খেলাপি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বেই ঋণ খেলাপিদের মাফ করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন কার্যকর ছিল না। যে কারণে ব্যাংকে ঢুকলে সেখান থেকে বের হওয়ার পথ ছিল না। তাই আমরা আইনগুলো কার্যকর করে সেই আইনি প্রক্রিয়ায় সহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করে সবাইকে এখান থেকে মাফ করার ব্যবস্থা করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা স্বতঃসিদ্ধ, আমরা সবাই জানি যদি ব্যাংকিং খাত স্বাভাবিকভাবে চলতে না পারে এবং যদি ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে যায়। আর যদি নন পারফর্মিং লোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা থেকে বিচ্যুত হব। আমরা সকল কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ব্যাংক খাতগুলোর ‘রেট অব ইন্টারেস্ট’ সুদের হার কমাব। সুদের হার কমানো না গেলে নন পারফর্মিং লোন কমবে না।’

নন পারফর্মিং লোন বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখা করে মন্ত্রী বলেন, ‘নন পারফর্মিং লোন তখনই বেড়ে যায়, যখন লোন নিয়ে তারা পরিশোধ করতে পারেন না। নন পারফর্মিং লোন হওয়ার কারণে সুদের হার অনেক বেশি। যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা ঋণ পরিশোধ করতে পারে না, তখন সেখানে সঙ্গত কারণেই খেলাপি হয়ে যায়। আর ঋণ খেলাপি রেখে ব্যাংক শিটগুলোর এতোটাই দূর অবস্থার মধ্যে আছে, সেগুলোকে যদি পরিষ্কার না করি তাহলে এগুলো আরও খারাপ হয়ে যাবে। এ জন্য সুদের হার মোটামুটি সহনশীল অবস্থায় নিয়ে আসছি। সেটা নিয়ে আসতে পারলেই আমরা সফল হব। আমাদের কর্মসংস্থান বাড়বে। শিল্পকারখানাগুলো বেঁচে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সকলের স্বার্থে এই কাজটি করতে যাচ্ছি। এরমধ্যে অনেক বির্তক হচ্ছে, অনেকে অনেক রকম কথা বলছে। আমরা মাফ করে দিচ্ছি। সারা বিশ্বেই মাফ করে দেয়। আমাদের দেশে কিন্তু মাফ করার ব্যবস্থা ছিল না। কারণ, আমাদের দেশে দেউলিয়া আইন এবং ব্যাংক আর্বিটেশন যেগুলো আছে সেগুলো কার্যকর ছিল না। সেইজন্য একবার ব্যাংকে ঢুকলে সেখান থেকে আর বের হবার পথ ছিল না। আমরা আইনগুলো কার্যকর করে সেই আইনের প্রক্রিয়া সবাইকে আমরা একটা ইকুইটেবল পরিস্থতি তৈরি করে সাবাইকে আমরা এখন থেকে মাফ করার ব্যবস্থা করব। বের করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব। সকল ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতি চালানো যাবে না। তবে আবার সবাইকে মাফও করা যাবে না। যারা ইচ্ছেকৃতভাবে খেলাপি হয় যায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অ্যাকশন অবশ্যই নিতে হবে, আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।’