ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইন পত্রিকায় অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন পত্রিকায় অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, বিশ্বে অনেক নামি-দামি পত্রিকার ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে, শুধু অনলাইন চলছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাসহ মন্ত্রী-এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এখন অনেক পত্রিকা কেবল অনলাইনে চলে এসেছে। ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে এটা প্রযুক্তির প্রভাব। প্রযুক্তি এবং আধুনিকাতর প্রভাবে এভাবে বিবর্তন আসতে থাকবে। বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এটা আমরা ইচ্ছা করলেই ঠেকাতে পারবো না।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি মানুষকে যেমন সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, আরও আধুনিকতা এনে দেয়, আবার সমস্যাও সৃষ্টি করে। আমরা যদি এক ধরণের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকি, তাহলে কিন্তু হবে না। সারা বিশ্বে কিন্তু এখন অনেক নামিদামি পত্রিকা শুধু অনলাইনেই চলে; ছাপানোটা আর হয় না, একদম নাই। এ রকম বহু নামকরা পত্রিকা, তারা কিন্তু সব চলে গেছে অনলাইনে। কাগজ আর ব্যবহার হয় না।’

সম্প্রচার শিল্প নিয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও অনেকে চ্যানেল চাইছে। তথ্যমন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বললাম যতো চাইছে, দিয়ে দিতে। কিছু না হোক, কিছু লোকেরতো চাকরি হবে, কর্মসংস্থান হবে। এ কারণে যতই চাইবে ততই অনুমোদন দিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজড করে দিয়েছি, স্যাটেলাইটও হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও টিভি চালানো যায়। তিন মাসের জন্য বিনা পয়সায় (টিভি চ্যানেল) চালানোর প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো সেভাবে নিচ্ছে না। অথচ বিদেশি জায়গায় অনেক টাকা দিচ্ছে। কীভাবে আমাদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অল্প খরচে টেলিভিশন চালাতে পারে সেজন্য কথা চলছে।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার যুগ। যারা ভালো অনুষ্ঠান করবে তারা টিকে থাকবে। ভালো খবর যারা দেবে তারা, তাদের চ্যানেল মানুষ দেখবে। আমাদের দেশে ১৬ কোটি মানুষ সুতরাং গ্রাহক কখনও কমবে না বরং বেশি হবে।

নবম ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে সরকারের যা করণীয়, তা সরকার করেছে, বাকিটা মালিকপক্ষের, সেখান থেকে সাংবাদিকরা যা আদায় করে নিতে পারেন, সেটা তাদের ব্যাপার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অনলাইন পত্রিকায় অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন পত্রিকায় অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, বিশ্বে অনেক নামি-দামি পত্রিকার ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে, শুধু অনলাইন চলছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাসহ মন্ত্রী-এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এখন অনেক পত্রিকা কেবল অনলাইনে চলে এসেছে। ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে এটা প্রযুক্তির প্রভাব। প্রযুক্তি এবং আধুনিকাতর প্রভাবে এভাবে বিবর্তন আসতে থাকবে। বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এটা আমরা ইচ্ছা করলেই ঠেকাতে পারবো না।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি মানুষকে যেমন সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, আরও আধুনিকতা এনে দেয়, আবার সমস্যাও সৃষ্টি করে। আমরা যদি এক ধরণের ধারাবাহিকতায় চলতে থাকি, তাহলে কিন্তু হবে না। সারা বিশ্বে কিন্তু এখন অনেক নামিদামি পত্রিকা শুধু অনলাইনেই চলে; ছাপানোটা আর হয় না, একদম নাই। এ রকম বহু নামকরা পত্রিকা, তারা কিন্তু সব চলে গেছে অনলাইনে। কাগজ আর ব্যবহার হয় না।’

সম্প্রচার শিল্প নিয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও অনেকে চ্যানেল চাইছে। তথ্যমন্ত্রীর (ড. হাছান মাহমুদ) সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বললাম যতো চাইছে, দিয়ে দিতে। কিছু না হোক, কিছু লোকেরতো চাকরি হবে, কর্মসংস্থান হবে। এ কারণে যতই চাইবে ততই অনুমোদন দিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজড করে দিয়েছি, স্যাটেলাইটও হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও টিভি চালানো যায়। তিন মাসের জন্য বিনা পয়সায় (টিভি চ্যানেল) চালানোর প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। কিন্তু চ্যানেলগুলো সেভাবে নিচ্ছে না। অথচ বিদেশি জায়গায় অনেক টাকা দিচ্ছে। কীভাবে আমাদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অল্প খরচে টেলিভিশন চালাতে পারে সেজন্য কথা চলছে।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার যুগ। যারা ভালো অনুষ্ঠান করবে তারা টিকে থাকবে। ভালো খবর যারা দেবে তারা, তাদের চ্যানেল মানুষ দেখবে। আমাদের দেশে ১৬ কোটি মানুষ সুতরাং গ্রাহক কখনও কমবে না বরং বেশি হবে।

নবম ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে সরকারের যা করণীয়, তা সরকার করেছে, বাকিটা মালিকপক্ষের, সেখান থেকে সাংবাদিকরা যা আদায় করে নিতে পারেন, সেটা তাদের ব্যাপার।