হাওর বার্তা ডেস্কঃ যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনছার উদ্দিন বলেছেন, যশোরের মণিরামপুরে আটক ২৩ শিবির নেতাকর্মী বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মণিরামপুরের হায়াতপুর শাহাপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার উত্তর পোতার ভবনের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক সরকার বিরোধী মিটিং করছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় মাদ্রাসার মধ্যে ৩০/৩২ জন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী বাছাইকৃত ‘সাথী শিক্ষা শিবির-২০১৯’ লেখা ব্যানারে মিটিং করছে। তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনাস্থল থেকে ৬টি আপত্তিকর বই ও ৪টি লাল স্কচটেপ পেঁচানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। প্রত্যন্ত এলাকার একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠকের মাধ্যমে তারা সংগঠিত হচ্ছিল। পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
আটক শিবির নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন সার্কেল এএসপি (মণিরামপুর) রাকিব হাসান ও মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক।
সম্প্রতি শ্রীলংকায় সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। যশোরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যশোর পুলিশ সতর্ক থাকায় মণিরামপুরে গোপন বৈঠককালে শিবিরের ২৩ নেতাকর্মীকে আটক করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ডিএসবি আনছার উদ্দিন।