ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭০ হাজার ‘পুল টিচার’ নিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি কমাতে ৭০ হাজার ‘পুল টিচার’ নিয়োগের পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যারা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী তাদেরকে গুনগত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে এটা অর্জন করা সম্ভব হবে না। প্রশিক্ষণ ছাড়াও শিক্ষকরা নানা ধরনের ছুটিতে থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকে। পাঠদান নিশ্চিত করতে আপৎকালীন ২০ শতাংশ রিজার্ভ টিচার নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা ১০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠাতে বলেছে। পিইডিপি-৪ (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) কনসালট্যান্টকে প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি-২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন ৩৮ হাজার ৯১৬টি ও নতুন জাতীয়করণকৃত স্কুল ২৬ হাজার ৬১৩টি। এসব স্কুলে শিক্ষক রয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৭ জন ও নারী শিক্ষক ২ লাখ ২৩ হাজার ৮১০ জন। পুরতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৮.০২ ভাগ নারী শিক্ষক ও নতুন সরকারি স্কুলে এ হার ৫৬.০৪ ভাগ।

এর আগে এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। বাকিদের ‘পুল শিক্ষক’ হিসেবে সাত দিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় (পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী পান, তাদের কোনো ছুটি নেই এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৭০ হাজার ‘পুল টিচার’ নিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের

আপডেট টাইম : ১২:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি কমাতে ৭০ হাজার ‘পুল টিচার’ নিয়োগের পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে যারা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী তাদেরকে গুনগত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে এটা অর্জন করা সম্ভব হবে না। প্রশিক্ষণ ছাড়াও শিক্ষকরা নানা ধরনের ছুটিতে থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকে। পাঠদান নিশ্চিত করতে আপৎকালীন ২০ শতাংশ রিজার্ভ টিচার নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা ১০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠাতে বলেছে। পিইডিপি-৪ (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) কনসালট্যান্টকে প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি-২০১৮ এর তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে পুরাতন ৩৮ হাজার ৯১৬টি ও নতুন জাতীয়করণকৃত স্কুল ২৬ হাজার ৬১৩টি। এসব স্কুলে শিক্ষক রয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৭ জন ও নারী শিক্ষক ২ লাখ ২৩ হাজার ৮১০ জন। পুরতান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৮.০২ ভাগ নারী শিক্ষক ও নতুন সরকারি স্কুলে এ হার ৫৬.০৪ ভাগ।

এর আগে এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ১১ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১২ আগস্ট ২৭ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। বাকিদের ‘পুল শিক্ষক’ হিসেবে সাত দিন থেকে ছয় মাসের জন্য কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় (পুল শিক্ষকরা প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা সম্মানী পান, তাদের কোনো ছুটি নেই এবং তাদের নিয়োগ সাময়িক)।